দেশে কত বিদেশি কর্মী আছে জানাবে অর্থনৈতিক শুমারি
১৫ দিনব্যাপী এই শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১১ বছর পর শুরু হওয়া এ শুমারির জন্য সারাদেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী তথ্য সংগ্রহ করবেন
প্রকাশ | ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আজ থেকে শুরু হচ্ছে দেশের চতুর্থ অর্থনৈতিক শুমারির মূল তথ্য সংগ্রহ। শুমারিতে এবারই প্রথমবারের মতো দেশে কতজন বিদেশি কর্মী নিয়োজিত রয়েছেন, তারা কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে কোন ধরনের পদে কর্মরত আছেন এবং নারী-পুরুষ কতজন সেসব তথ্য জানা যাবে। ১৫ দিনব্যাপী এই শুমারির তথ্য সংগ্রহের কাজ চলবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ১১ বছর পর শুরু হওয়া এ শুমারির জন্য সারাদেশে ৯৫ হাজার তথ্য সংগ্রহকারী তথ্য সংগ্রহ করবেন। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে প্রতি ১০ বছর পর এমন শুমারি করছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরো। যদিও নানা জটিলতায় এবার এক বছর দেরি করে অর্থাৎ ১১ বছর পর এ শুমারি পরিচালনা করছে সংস্থাটি। এই শুমারিতে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোর জনবলের ক্যাটাগরি হিসাব করা হবে জনবলের খাত, কোন দেশের জনবল, নারী-পুরুষের আলাদা হিসাবও এতে উঠে আসবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফার হিসাবও অঙ্কে তুলে আনা হবে এবারের শুমারিতে। আগে এ কয়েকটি বিষয় অর্থনৈতিক শুমারিতে ছিল না। অর্থনৈতিক শুমারিতে ৭০টি প্রশ্ন উঠে আসবে। এবারই প্রথম ট্যাবের মাধ্যমে ক্যাপি পদ্ধতিতে এই শুমারির তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ইতোমধ্যেই লিস্টিংয়ের মাধ্যমে ১ কোটি ২২ লাখ ইউনিট চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখান থেকে এবং এর বাইরে থেকেও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, শুমারির কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে শেষ করার জন্য জিওগ্রাফিক্স ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ও জিওকোড সমন্বয় করে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহে ব্যবহৃত ট্যাবলেটগুলো মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম) সফটওয়্যার ব্যবহার করে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিভাইসগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মাঠপর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্য সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) সমৃদ্ধ ডেটা সেন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে। এই শুমারির মাধ্যমে দেশের সকল ইউনিটকে কাভার করা হবে। অর্থনৈতিক শুমারির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে অর্থনৈতিক শুমারিতে তথ্য দিন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশ নিন। সারাদেশে ৯০ হাজার গণনাকারী এই শুমারিতে অংশ নেবেন। ডিজিটাল শুমারিতে ১ লাখ ৪০ হাজার ট্যাব ব্যবহার হবে। বাংলাদেশকে ১৩টি শুমারিতে ভাগ করা হয়েছে। দেশের সর্বপ্রথম অর্থনৈতিক শুমারি ১৯৮৬ সালে অনুষ্ঠিত হয়, এরপর ২য় অর্থনৈতিক শুমারি ২০০১ এবং ২০০৩ সালে পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হয়, ৩য় অর্থনৈতিক শুমারি ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বাংলাদেশের ৪র্থ অর্থনৈতিক শুমারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।