বিএফডিসি স্বল্পমূল্যে ইলিশ বিক্রি কার্যক্রম

প্রথম দিনে বিক্রি মাত্র ১০০ কেজি

প্রকাশ | ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি)। রোববার দুপুরে মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার উদ্বোধন করার পর বিএফডিসিতে দুপুর ২টা থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ বিক্রি শুরু হয়। এসময় ইলিশ কিনতে সাধারণ মানুষের ভিড় জমে। কেউ এক কেজি কেউ আরও বেশি করে ইলিশ কিনেছেন। তবে ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধন করে বিক্রি করা হয়েছে মাত্র ১০০ কেজি মাছ। বিএফডিসির আউটলেটের বিক্রেতা নাজমুল বলেন, আমাদের ২টা ৪০ মিনিটের মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। আজকে ১০০ কেজি বিক্রি করেছি। আজ আর বিক্রি করবো না। তবে স্টক থাকা সাপেক্ষে বিক্রি চলবে। ক্রেতারা আবার আগামীকাল এসে কিনতে পারবেন। মাছ কিনতে আসা আরমান হোসেন বলেন, কারওয়ান বাজার এসে এখানে ভিড় দেখতে পাই। পরে এসে দেখি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। গত এক বছর ধরে ইলিশ কিনিনি। আজ কম দাম পেয়ে কিনেছি। আবিদ রহমান নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, ইলিশ খাওয়া আমাদের জন্য দুর্লভ। এক আত্মীয়ের মাধ্যমে শুনছি এখানে কম দামে মাছ বিক্রি হয়। সরেজমিনে বিএফডিসির প্রধান কার্যালয়ের আউটলেটে দেখা গেছে, ৪৫০ গ্রাম থেকে ৯০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি গড়ে ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন ও মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে ইলিশ মাছের সরবরাহ ও মূল্য শৃঙ্খলে বিদ্যমান প্রতিবন্ধকতা দূর করতে হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ বিক্রির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশ মাছ শুধু জাতীয় মাছ নয়। এর সঙ্গে স্বাদ, রান্না, জীবনযাপন অনেক কিছু জড়িত। ক্রয়সীমার মধ্যে রেখে বাংলাদেশের মানুষের এই মাছ খাওয়ার অধিকার আছে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা হয়তো সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারবো না। আমরা শুধু এটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো না। আরও বেশি কীভাবে মানুষের মাঝে পৌঁছাতে পারি সেই চেষ্টা করবো। ইলিশ মাছ ধরার উৎস থেকে যদি সরাসরি বিক্রি পর্যন্ত নিয়ে আসতে পারা যায়, তাহলে দাম কমানো সম্ভব। মধ্যস্বত্বভোগীদের বাদ দিয়ে এই কাজ করতে হবে, এমন মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, ইলিশ রক্ষার জন্য আমরা নানা উদ্যোগ নেই। অনেক সময় মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয়। আমরা বাজারের দাম কমাতে পারি না। ফরিদা আখতার বলেন, ইলিশ মাছ শুধু জাতীয় মাছ না। এর সঙ্গে স্বাদ, রান্না, জীবনযাপন অনেক কিছু জড়িত। ক্রয়সীমার মধ্যে রেখে বাংলাদেশের মানুষের এই মাছ খাওয়ার অধিকার আছে। আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা হয়তো সবাইকে সন্তষ্ট করতে পারবো না। আমরা শুধু এইটুকুর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবো না। আরও বেশি কীভাবে মানুষের মাঝে পৌঁছাতে পারি সেই চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, আমাদের এখানে ৪৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ রয়েছে। আমরা ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতা চাই। আমরা আরও বেশি চেষ্টা করবো। জনসাধারণ যেন এই মাছ খেতে পারে তাই ক্রয়সীমার মধ্যে রাখার চেষ্টা করি। এসময় মেরিনা ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনাম চৌধুরী বলেন, ইলিশ মাছ খুব দুর্লভ হয়ে গেছে। আমরা গভীর সমুদ্রে মাছ ধরি। দেশে হ্রাসকৃত মূল্যে ইলিশ মাছ বিক্রির এই উদ্যোগ প্রথম। এর মাধ্যমে সুলভ মূল্যে ইলিশ মাছ দিতে পারবো। এই মাছটা আমিষের বিরাট সোর্স। আমাদের লক্ষ্য থাকবে এই উদ্যোগ যেন দেশব্যাপী পৌঁছে দিতে পারি।