কমেছে জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশ | ০৮ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মেক্সিকোর বাণিজ্য উত্তেজনা নিয়ে উদ্বেগে আছেন বিনিয়োগকারীরা, যার প্রভাবে কমতে শুরু করেছে জ্বালানি তেলের দাম। আগামী জুলাইয়ে সরবরাহ করা হবে এমন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডবিস্নউটিআই) দাম ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে গত সপ্তাহে (৩১ মে সমাপ্ত)। একইভাবে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম কমেছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ। খবর সিনহুয়া। গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক মার্কেন্টাইল এক্সচেঞ্জে ডবিস্নউটিআইয়ের সর্বশেষ বাজারমূল্য ছিল ব্যারেলপ্রতি ৫৩ দশমিক ৫০ মার্কিন ডলার। অন্যদিকে একই সময়ে লন্ডন ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের মূল্য ছিল ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ৪৯ মার্কিন ডলার। যদিও চলতি বছর পর্যন্ত ডব্লিউটিআই ও ব্রেন্ট ক্রুডের মূল্য যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ১৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়েছিল। গত সপ্তাহের পুরো সময় ডব্লিউটিআই ও ব্রেন্ট ক্রুডের বাজার মোটামুটি একই অবস্থার মধ্যেই ছিল। তেলের এ মূল্যহ্রাস এটাই প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকোর বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে তেল ব্যবসায়ীরা কতটা উদ্বেগে আছেন। এই দুই দেশের বাণিজ্য সংকটের ফলাফল বিশ্ব অর্থনীতিকে মন্থর করে ফেলতে পারে বলেও ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা। উলেস্নখ্য, গত বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর সব পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে শুল্কারোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যা আগামী ১০ জুন থেকে কার্যকর হবে। ঝিমিয়ে চলছে ওটিসি মার্কেটে লেনদেন যাযাদি রিপোর্ট অনেকটা ঝিমিয়েই চলছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) লেনদেন। এ মার্কেটে চলতি অর্থবছরের ৩০ মে পর্যন্ত ১১ মাসে মাত্র ৬৫ কোটি টাকা ২৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, গত এগার মাসে মাত্র ১৭ কোম্পানির শেয়ার ওটিসি মার্কেটে লেনদেন হয়েছে। এ সময় এসব কোম্পানির ২ কোটি ৯৯ লাখ ৩৩ হাজার ১০৪ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর আগের অর্থবছরে মোট ৩০ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ওটিসি মার্কেটে। এসব কোম্পানির ১ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৬২৭ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৭৯ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ৮৫১ টাকায়। গত এগার মাসে ওটিসি মার্কেটে যেসব কোম্পানির লেনদেন হয়েছে সেগুলো হচ্ছে- আলফা ট্যোবাকো, অ্যাপেক্স উইভিং, বাংলাদেশ মনোস্পোল পেপার, বেঙ্গল বিস্কুট, ঢাকা ফিসারিজ, এক্সিলিউর সুজ, গাছিহাটা অ্যাকুয়াকালচার, যশোর সিমেন্ট, লেক্সো লিমিটেড, মর্ডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু ফেবিক্সস লিমিটেড, পেপার প্রসেসিং, রহমান কেমিক্যাল, রাঙামাটি ফুট, সোনালী পেপার, তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইল, ওয়ান্ডারল্যান্ড টয়েজ লিমিটেড। যেসব কোম্পানির দীর্ঘ দিন ধরে উৎপাদন নেই, নিয়মিত লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ, আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে ব্যর্থ, নিয়মিত বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) করতে পারছে না সেগুলোকে মূল মার্কেট থেকে সরিয়ে ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাম অয়েলের বাজার যাযাদি ডেক্স গত বছরের শেষ দিক থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাম অয়েলের দামে ধারাবাহিক উত্থান-পতন বজায় ছিল। এ ধারাবাহিকতায় গত মার্চে ভোজ্যতেলটির গড় দামে মন্দাভাব দেখা গেছে। তবে এপ্রিলে এসে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাম অয়েলের বৈশ্বিক গড় দাম। এ সময় পণ্যটির গড় দাম আড়াই শতাংশের বেশি বেড়ে টনপ্রতি ৫৮৮ ডলার ছাড়িয়েছে। পাম অয়েলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে মালয়েশিয়ার বাজারে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের গড় দাম ছিল ৫৯০ ডলার ৩২ সেন্ট। পরের মাসে পণ্যটির গড় দাম ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ কমে টনপ্রতি ৫৩৯ ডলার ১০ সেন্টে নেমে আসে। দরপতনের ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরে প্রতি টন পাম অয়েলের গড় দাম দাঁড়ায় ৫৩৫ ডলার ২ সেন্টে, যা আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৭৬ শতাংশ কম। চলতি বছরের জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ার বাজারে ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের গড় দাম ডিসেম্বরের তুলনায় ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৮৪ ডলার ৫৮ সেন্টে। আর ফেব্রম্নয়ারিতে পণ্যটি টনপ্রতি গড়ে ৬০২ ডলার ৯৭ সেন্টে বিক্রি হয়েছিল, যা আগের মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বেশি। গত মার্চে পাম অয়েলের গড় দাম ছিল টনপ্রতি ৫৭৩ ডলার ২ সেন্ট, যা আগের মাসের তুলনায় ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। তবে এপ্রিলে পণ্যটির দামে ফের চাঙাভাব ফিরে এসেছে। এ সময় ভবিষ্যৎ সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি টন পাম অয়েলের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ৫৮৮ ডলার ৪৫ সেন্টে, যা আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি। রপ্তানি চাহিদা বাড়তির দিকে থাকায় আগামী দিনগুলোতেও ভোজ্যতেলটির দাম চাঙা থাকতে পারে। সূত্র: স্টার অনলাইন