বিমা খাতের জন্য থাকছে না প্রণোদনা

প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বিশৃঙ্খল বিমা খাতের জন্য ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে কোনো প্রণোদনা থাকছে না। এ খাতে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনের জন্য দেশের সব মানুষ এবং সম্পত্তির জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করারসহ নয় দফা প্রস্তাবনা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং অর্থ মন্ত্রণালয়কে দিয়েছিল বিমা মলিক ও নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্সু্যরেন্স অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএ)। কিন্তু আসছে বাজেটে বিমা খাতের জন্য কোনো প্রণোদনা থাকছে না। বিআইএ-এর দাবিগুলো হলো- পুনঃবিমা কমিশনের বিপরীতে ১৫ শতাংশ হারে যে উৎসে মূল্য সংযোজন কর আদায় করা হয়, তা থেকে অব্যাহতি দেয়া, নন-লাইফ ইন্সু্যরেন্সের স্বাস্থ্য বিমার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা, জীবন বিমা পলিসি হোল্ডারদের পলিসি বোনাসের ওপর ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স কর্তন বন্ধ করা, বিমা এজেন্টদের উৎসে কর থেকে অব্যাহতি দেয়া ও পুনঃবিমা প্রিমিয়ামের ওপর উৎসে কর রহিত করা, করপোরেট কর হার হ্রাস করা, কৃষি বিমার ওপর থেকে কর রহিত করা, অনলাইন ভিত্তিক বিমার প্রিমিয়ামের ওপর মূল্য সংযোজন কর রহিত করা এবং নতুন সামাজিক পণ্যে ট্যাক্স ও ভ্যাট ছাড় দেয়া। এ বিষয়ে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন বলেন, দেশের ব্যাংক খাত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই ধারায় বিমা খাত এগোচ্ছে না। তার কারণ, এখন বিমা সেক্টরের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। সবার জন্য যেমন ব্যাংক অ্যাকউন্ট খোলা বাধ্যতামূলক হওয়ায় ব্যাংক খাতের প্রসার হয়েছে। ঠিক তেমনিভাবে সবার জন্য বিমা বাধ্যতামূলক করা হলে বিমা সেক্টরও এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, লাইফ এবং নন-লাইফ ইন্সু্যরেন্স দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বিশেষ করে বেকারত্ব নিরসন, বিনিয়োগ, শেয়ার বাজার, সম্পদ পুঞ্জিভূতকরণ, সরকারি কোষাগারে কর প্রদান এবং অর্থ একত্রিকরণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। আমরা মনে করি, এই শিল্পের ভবিষৎ অনেক উজ্জ্বল। কিন্তু কিছু সমস্যার কারণে আমাদের এ খাতের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে। উলেস্নখ্য, বর্তমানে বিমা খাতে মোট ৭৮টি কোম্পানির রয়েছে। এতে ৩৯ হাজার ৯৫৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৮ সালে ১ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকার রাজস্ব সরকারকে দিয়েছে।