৩ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা পাচ্ছে তৈরি পোশাকশিল্প

প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পোশাক রপ্তানিকে উৎসাহিত করতে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ১ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। তাতে টাকার অঙ্ক দাঁড়ায় ৩ হাজার কোটি টাকা। এ টাকা পাচ্ছে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ), বিকেএমইএ ও বিটিএমএ সদস্যসহ বিদেশে রপ্তানি করা সব পোশাক কারখানা। সংগঠনগুলোর দাবি ছিল, রপ্তানির ওপর আপদকালীন সহায়তা হিসেবে ৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তার। তাতে সরকারের ব্যয় হতো ১৪ হাজার কোটি টাকা। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বাজেটে এই ঘোষণা থাকছে। এ সহায়তার সঙ্গে সঙ্গে চলতি বাজেটের মতোই নতুন বাজারে রপ্তানির জন্য ৪ শতাংশ নগদ সুবিধা এবং করপোরেট কর ১০ এবং ১২ শতাংশ হারে থাকছে বাজেটে। বর্তমানে দেশের তৈরি পোশাক খাত ৩১ মিলিয়ন ডলার পরিমাণ পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, আমরা ক্রান্তিকাল পার করছি। তৈরি পোশাক খাত এখন সঙ্কটাপন্ন। গত এক-দেড় মাসে ২৪টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। যেখানে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার শ্রমিক চাকরি হারিয়েছেন। এ অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে এখন সহায়তা না দিলে সমস্যায় পড়ব। তাই পোশাক খাতের ঘুরে দাঁড়ানো জন্য, আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগামী বাজেটে সব বাজারে রপ্তানি পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভর্তুকি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। একক প্রণোদনা হিসেবে ৫ শতাংশ হারে রপ্তানিতে ভর্তুকি দিলে টাকার অঙ্কে দাঁড়ায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। আমরা এই সুবিধা আগামী ৫ বছর চাই। ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ মেয়াদ দ্বিগুণ করার দাবি জানিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, 'যেসব কারখানা ইচ্ছাকৃতভাবে খেলাপি নয়, তাদের উৎপাদন কাজে ফিরে যাওয়া এবং ব্যবসা সচল রাখার জন্য সুযোগ হিসেবে পুনঃতফসিলীকরণের মেয়াদ দ্বিগুণ করা উচিত। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে, সর্বোপরি অর্থনীতি চাঙা হবে। এজন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের প্রত্যাশা করছি।' এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম বলেন, 'আমরা ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছি। আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য ১৬ শতাংশ শুল্ক কর প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছি। এছাড়াও রপ্তানি পণ্যের ওপর সব ধরনের ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।'