ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ প্রতিনিধিদের সঙ্গে নেতাদের আলোচনা

আফ্রিকায় বিনিয়োগ বাড়াতে চায় এফবিসিসিআই

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
এফবিসিসিআই এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি), তানজানিয়া প্রতিনিধিদের মধ্যে গতকাল অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম এতে সভাপতিত্ব করেন
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য এবং ওই অঞ্চলের দেশগুলোতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ আরও বাড়ানোর বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে। আফ্রিকার দেশগুলোতে তৈরি পোশাক ও কৃষিখাতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ এবং তথ্যপ্রযুক্তিসহ অন্যান্য খাতগুলোতে বিদ্যমান বাণিজ্য আরও সম্প্রসারণের বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতারা বিশেষ আগ্রহ দেখিয়েছেন। এফবিসিসিআই এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি), তানজানিয়া প্রতিনিধিদের মধ্যে গতকাল অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে আলোচনায় সহসভাপতি এবং পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। এনডিসি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন অ্যাম্বাসেডর পিটার কালস্নাঘে। প্রতিনিধিদলে চীন, তানজানিয়া, কেনিয়া, বতসোয়ানা, রুয়ান্ডা ও বুরুন্ডির প্রতিনিধিরা অংশ নেন। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ পরিস্থিতি, বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধাসমূহ, ব্যাংকিং খাত, ব্যাংক ঋণের সুদের হার এবং দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বাণিজ্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে জানতে চান। ব্যাংক খাতের সিঙ্গেল ডিজিট বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, দেশে এখন বিশ্বের বড় বড় বহুজাতিক ব্যাংকগুলো ব্যবসা করে যাচ্ছে। বিশ্বের যেকোনো প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারছে। তবে ব্যাংক খাতের সিঙ্গেল ডিজিটের সুদহার নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। আশা করছি, ২-১ বছরের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের সামনে এখন অনেক চ্যালেঞ্জ। রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট এখন বড় কোনো সমস্যা না। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম তার বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং ক্রমবর্ধমান অগ্রগতিতে দেশের বেসরকারি খাতের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে দেশের বেসরকারি খাত বলিষ্ঠ অংশীদারিত্বে কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। শেখ ফাহিম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাংলাদেশের পণ্যের শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত রপ্তানি সুবিধা পাওয়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সরকারের আকর্ষণীয় বিনিয়োগ সুবিধা গ্রহণ করে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি চীনের ৪০০-এর বেশি এবং জাপানের ২৭৯টি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ব্যবসা করছে বলে তিনি উলেস্নখ করেন। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোতে তৈরি পোশাক, কৃষি এবং তথ্যপ্রযুক্তির পাশাপাশি বাংলাদেশের ইলেকট্র্রনিকস, ভোগ্যপণ্য (ঋগঈএ) এবং হোম অ্যাপস্নায়েন্স সামগ্রী রপ্তানির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। দেশের আর্থিক খাতে সাম্প্রতিক কিছু অনিয়মের প্রসঙ্গে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ এবং সরকার ও বেসরকারি খাত সম্মিলিতভাবে এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দ্রম্নত অগ্রসরমান উন্নয়ন প্রকল্পসমূহ,  বেসরকারি খাতের শীর্ষ সংগঠন হিসেবে বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে সরকারের সঙ্গে এফবিসিসিআইয়ের অংশীদারিত্ব এবং দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সরকারি-বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন। এর আগে এফবিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে সংগঠনের পরিচিতি, কার্যক্রম ও ভিশন তুলে ধরে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেয়া হয়।