ইইউর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

প্রকাশ | ০১ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

অর্থ-বাণিজ্য রিপোর্ট
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে পণ্য আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সময় তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রকে ঠকানোর জন্য গঠিত হয়েছে এ বস্নক।' খবর এফটি। দ্বিতীয় দফায় হোয়াইট হাউজের প্রবেশের পর বুধবার প্রথম মন্ত্রিসভা বৈঠক করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেখানে ট্রাম্প প্রশাসনের অন্যতম পরামর্শক ইলোন মাস্কও উপস্থিত ছিলেন। ইইউর শুল্ক পরিকল্পনা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, 'আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং শিগগিরই এটি ঘোষণা করব। সাধারণভাবে সব পণ্যের জন্য ২৫ শতাংশ শুল্ক প্রযোজ্য হবে।' এমন মন্তব্য বৃহত্তর ট্রান্সঅ্যাটলান্টিক বাণিজ্যযুদ্ধে গড়াতে পারে। বিশ্লেষকরা বলে আসছিলেন, এমন কোনো সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রে ও ইউরোপ উভয় অর্থনীতিকে ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে। একই সঙ্গে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে শত্রম্নতা বাড়াতে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য প্রকাশ্যে আসার পর বুধবার সন্ধ্যায় পাল্টা ব্যবস্থার হুমকি দেয় ইউরোপিয়ান কমিশন। তারা বলছে, 'মুক্ত ও সুষ্ঠু বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অযৌক্তিক প্রতিবন্ধকতার' বিরুদ্ধে কঠোর ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাবে ইইউ। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিন থেকেই কানাডা ও মেক্সিকোর পাশাপাশি চীনের ওপর শুল্ক আরোপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এখন শুধু বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে ১০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর রয়েছে। তবে শিগগিরই প্রতিবেশী দেশ দুটির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ হবে। ইইউর ওপর প্রস্তাবিত শুল্কের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে দীর্ঘদিনের অসঙ্গতিপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য বস্নকটির বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, 'তারা সত্যিই আমাদের থেকে অনেক ধরনের সুবিধা নিয়েছে। তারা আমাদের গাড়ি কেনে না, কৃষিপণ্য কেনে না। তারা আমাদের পণ্য না কেনার অযৌক্তিক কারণ দেখায়।' তিনি আরো বলেন, 'চলুন সৎ হই, যুক্তরাষ্ট্রকে ঠকানোর জন্য গঠিত হয়েছিল ইইউ। এটি এর উদ্দেশ্য এবং তারা এতে সফল হয়েছে।' ডোনাল্ড ট্রাম্পের এসব মন্তব্যের পর মুদ্রাবাজারে ইউরোর বিনিময় হার কিছুটা কমেছে। তবে দীর্ঘদিনের অসঙ্গতিপূর্ণ অর্থনৈতিক সম্পর্কের জন্য বস্নকটির বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, 'তারা সত্যিই আমাদের থেকে অনেক ধরনের সুবিধা নিয়েছে। তারা আমাদের গাড়ি কেনে না, কৃষিপণ্য কেনে না। তারা আমাদের পণ্য না কেনার অযৌক্তিক কারণ দেখায়।'