ইস্টার্ন ব্যাংকের বিরুদ্ধে গ্রাহকের মামলার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিল ব্যাংক কর্তৃপক্ষ

প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) এর বিরুদ্ধে গ্রাহক কর্তৃক তহবিল আত্মসাতের মামলা এবং এ বিষয়ে গনমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিজস্ব অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইবিএল প্রধান কার্যালয়ে এক জরুরী প্রেস ব্রিফিং এর আয়োজন করে। ব্রিফিং এ মূল বক্তব্য রাখেন ইবিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার। এসময় ব্যাংকের লিগ্যাল রিটেইনার ব্যারিস্টার ওমর সাদাত এবং কমু্যনিকেশন্স ও এক্সটার্নাল এফেয়ার্স বিভাগ প্রধান জিয়াউল করিম এসময় উপস্থি ছিলেন। আলী রেজা ইফতেখার জানান ইস্টার্ন ব্যাংকের জনৈক গ্রাহক মর্তুজা আলী গত ২৬ ফেব্‌রুয়ারি ২০২৫ তহবিল আত্মসাতের অভিযোগ এনে ব্যাংকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। এটি ২০১৭ সালে সংঘটিত একটি তহবিল আত্মসাতের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত, যা ব্যাংকের একটি শাখার প্রাক্তন কর্মকর্তা বহিরাগত প্রতারকদের সাথে যোগসাজশ করে পরিচালনা করেছিলেন। সেই ঘটনার বিষয়ে ব্যাংক অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে এবং দোষী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে আদালত তাদের দোষী সাব্যস্ত করে কারাদন্ডসহ আর্থিক জরিমানা প্রদান করেন। উলেস্নখ্য, ঐ সময় বর্তমান মামলাটি দায়েরকারী গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারক চক্রের সংশ্লিষ্টতার সন্দেহও উত্থাপিত হয়েছিল। ইবিএল এমডি মনে করেন, গ্রাহক মুর্তজা আলী ২৬ ফেব্রম্নয়ারি ২০২৫ তারিখে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে ব্যাংকের সুনাম ক্ষুন্ন করার লক্ষ্যে এবং ২০১৭ সালের ঘটনার সাথে নিজের সম্পৃক্ততা আড়াল করার অভিপ্রায়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যগণের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেন, এই মামলার অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্য, নিজস্ব স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যাংকের ওপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা। তিনি আরও বলেন যে, তবে সাম্প্রতিক মামলাটি, যা ঘটনার প্রায় আট বছর পর দায়ের করা হয়েছে, এতে ইস্টার্ন ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্'াপনা কমিটির সদস্যদের অযৌক্তিকভাবে জড়ানো হয়েছে। কারন, তাদের সঙ্গে ২০১৭ সালের ঘটনার কোনো সম্পর্ক ছিল না। তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী গ্রাহকের দৈনন্দিন লেনদেনের সাথে ব্যাংক এর পরিচালনা পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের কোনো ধরণের সম্পৃক্ততা থাকে না। আলী রেজা ইফতেখার জানান, মর্তুজা আলী ইস্টার্ন ব্যাংকে তার রক্ষিত আমানতের বিপরীতে ঋণ গ্রহণ করেন এবং পরবর্তীতে তিনি এই ঋণের কিস্তি পরিশোধে গড়িমসি করতে থাকেন। বারবার তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও কোন ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। তাই বাধ্য হয়ে, ইবিএল গ্রাহকের ঋণের অর্থ সমন্বয় করে। এক্ষেত্রে, ব্যাংকের কোনও অনিয়ম খুঁজে পাওয়া যায়নি। ইবিএল এমডি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন সর্বোচ কর্পোরেট গভার্ন্যান্স, স্বচ্ছতা এবং আইন মেনে চলার নীতিতে ব্যাংকটি প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। ব্যাংক তার গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ রক্ষায়ও সর্বদা অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি জানান ইবিএল এই বিষয়টির ব্যাপারে যথাযথ আইনি ব্যবস্থঅ গ্রহণ করবে, যাতে গ্রাহকের দীর্ঘদিনের আস্থা, ব্যাংকের মর্যাদা ও পরিচালনা পর্ষদের সুনাম সমুন্নত থাকে। তিনি সকল পক্ষের গ্রতি অনুরোধ জানান যাতে তারা বিভ্রান্তিকর বা ভিত্তিহীন দাবির দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে, সঠিক ও যাচাইযোগ্য তথ্য ও আদালতের রায়ের ওপর আস্থা রাখেন। নিজস্ব মর্যাদা ও সুনাম রক্ষায় ইবিএল সর্বদা আইনগত ও নৈতিক নীতিমালা অনুসরণে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। বিজ্ঞপ্তি।