পাঁচ ব্যাংকেই খেলাপি ৫৫ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মার্চ শেষে এক লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছে ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ। এর মধ্যে মাত্র পাঁচ ব্যাংকেই কুঋণে পরিণত হয়েছে ৫৫ হাজার ৫১৫ কোটি টাকা। যা মোট খেলাপির ৫০ দশমিক ০৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত ডিসেম্বরের তুলনায় মার্চে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা বেড়ে এক লাখ ১০ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকা হয়েছে। হঠাৎ করে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে ব্যাংক খাত। ব্যাংক খাতে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ, ব্যাপক অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতাসহ বিভিন্ন কারণে ধারাবাহিকভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ছে বলে মত বিশ্লেষকদের। খেলাপির শীর্ষে থাকা ব্যাংকগুলো হলো জনতা ব্যাংক (২১ হাজার ৪১১ কোটি), সোনালী ব্যাংক (১২ হাজার ২৩৭ কোটি), বেসিক ব্যাংক (৮ হাজার ৮০৪ কোটি), ইসলামী ব্যাংক (৬ হাজার ৯১৬ কোটি) এবং অগ্রণী ব্যাংক (৬ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা)। গত ডিসেম্বর শেষে ইসলামী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ছিল তিন হাজার ৩১৭ কোটি টাকা। কিন্তু মার্চে সেটা বেড়ে ছয় হাজার ৯১৬ কোটি টাকা হয়েছে। মোট ঋণে খেলাপি ঋণের অংশ ৪ দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে উঠেছে ৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে। তিন মাসে বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। এতে করে খেলাপি ঋণের দিক দিয়ে চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে ইসলামী ব্যাংক। মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ সবচেয়ে বেশি রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানার জনতা ব্যাংকে। এই সময় ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ঠেকেছে ২১ হাজার ৪১১ কোটি টাকায়। এটি ব্যাংকটির মোট ঋণের ৪৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। তিন মাস আগে খেলাপি ঋণ ছিল ১৭ হাজার ২২৫ কোটি টাকা। আর এক বছর আগে ছিল আট হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ১২ হাজার ৬১ কোটি টাকা থেকে সামান্য বেড়ে ১২ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা হয়েছে। ঋণের নামে অর্থ লুট করায় আরেক আলোচিত বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ আট হাজার ৬৩২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে আট হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের দিক দিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে অগ্রণী ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ পাঁচ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে মার্চে ছয় হাজার ১৪৭ কোটি টাকা হয়েছে।