ডিএসই ও সিএসইর বাজেট প্রতিক্রিয়া আজ

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র মতে, রোববার সকাল ১০-৩০ মিনিটে সিএসই এবং দুপুর ১২-৩০ মিনিটে ডিএসই প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ বাজেটের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে। প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে সুশাসন ও বিনিয়োগারীদের স্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন প্রণোদনা প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে দুর্বল কোম্পানিগুলোর মান উন্নয়ন ও শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থে একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় বিশেষ সুবিধা, তালিকাভুক্ত কোম্পানি হতে প্রাপ্ত ডিভিডেন্ড আয়ে করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। আরও আছে, কোনো কোম্পানির আয় বছরে রিটেইনড আনিংস, রিজার্ভ ইত্যাদির সমষ্টি যদি পরিশোধিত মূলধনের ৫০ শতাংশের বেশি হয়, তাহলে যতটুকু বেশি হবে, এর ওপর ওই কোম্পানিকে ১৫ শতাংশ কর প্রদানের বিধান প্রস্তাব। কোম্পানি বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করলে সেই কোম্পানিকে বোনাস লভ্যাংশের ওপর ১৫ শতাংশ কর প্রদান করতে হবে। বিদেশি বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার হতে প্রাপ্ত লভ্যাংশের ওপর দ্বৈত কর প্রত্যাহার করা হবে এবং আরও অনেক কিছুই রাখা হয়েছে পুঁজিবাজারের স্বার্থে। উলেস্নখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটেছে বলে জানায় ডিএসই। টেকসই ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য আর্থিক খাতের সংস্কার, পুঁজিবাজারের সুশাসন ও প্রণোদনা প্রদান বিষয়ে যে সুপরিকল্পিত কর্মপন্থা ও ব্যবস্থাপনা কৌশল বাজেটে প্রস্তাব করা হয়েছে। নতুন বাজেটে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারের সংস্কার, দিক নির্দেশনা ও একগুচ্ছ প্রণোদনা প্রদান করে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির সমন্বয় ঘটিয়েছেন। পুঁজিবাজারকে সম্প্রসারণ ও গতিশীল করার জন্য সরকারের বিশেষ গুরুত্বারোপ করায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ নতুন অর্থমন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায়। ডিএসই আশা করে, সরকারের ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য যে সমস্ত প্রস্তাবাদি রাখা হয়েছে, এতে বাজারে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হবে। জাতীয় অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। বেসরকারি খাত আরও শক্তিশালী ও বিকশিত হয়ে দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হবে। যা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি আকৃষ্ট করবে।