সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ডিএসইতে লেনদেন কমেছে৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ যাযাদি রিপোর্ট ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। আলোচ্য সময় ডিএসইতে লেনদেন ৩৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ কমেছে। ডিএসইর সাপ্তাহিক পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে। তথ্যমতে, গত সপ্তাহে ডিএসইতে পঁচা কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৪৬৩ কোটি ৩৯ লাখ ছয় হাজার ৪৪২ টাকা। আগের সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৮৪১ কোটি ৪৭ লাখ ৫২৬ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে ৬২১ কোটি ৯২ লাখ পাঁচ হাজার ৯১৬ টাকা। গেলো সপ্তাহে সব ক্যাটাগরির শেয়ারের লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। আলোচ্য সময় ডিএসইর মোট লেনদেনে 'এ' ক্যাটাগরির শেয়ারের দখলে ছিল ৮৫ দশমিক ০৭ শতাংশ। 'এ' ক্যাটাগরিতে শেয়ারের লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৯৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮৮ হাজার ৪৪২ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল এক হাজার ৫৯৯ কোটি ৫২ লাখ ৬৪ হাজার ৫২৬ টাকা। লেনদেনে গেলো সপ্তাহে 'বি' ক্যাটাগরির শেয়ারের অংশগ্রহণ ছিল ৯ দশমিক ১৮ শতাংশ। এসব শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২৬ কোটি ছয় লাখ ১৭ হাজার টাকা, আগের সপ্তাহে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৪৬ কোটি ২০ লাখ ২২ হাজার টাকা। সদ্য শুরু হওয়া নতুন কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে বেড়েছে। ডিএসইর মোট লেনদেনে 'এন' ক্যাটাগরির অংশগ্রহন ছিল ৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ৯২ লাখ ১৫ হাজার টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৫ কোটি ৯৩ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। ডিএসইর লেনদেনে গেলো সপ্তাহে 'জেড' ক্যাটাগরির দখলে ছিল দশমিক ৫৬ শতাংশ। এসব শেয়ারের লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ কোটি ৭৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা, আগের সপ্তাহে এসব শেয়ারের লেনদেন হয়েছে ১৯ কোটি ৮০ লাখ ২১ হাজার টাকা। এদিকে, গত সপ্তাহে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে। আলোচ্য সময় ৩৫৫ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে বেড়েছে ২৬০টি, কমেছে ৭০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৩টি এবং লেনদেন হয়নি দুটি কোম্পানির শেয়ার। সপ্তাহে দরপতনের শীর্ষে ছিল যারা যাযাদি রিপোর্ট সপ্তাহ লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহে টপটেন লুজার বা দর পতনের শীর্ষে রয়েছে মার্কেন্টাইল ব্যাংক। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বচ্চ দর কমেছে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ডিএসইর সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারটি সর্বশেষ ১৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট সাত কোটি ৩০ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন এক কোটি ৪৬ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা। লুজারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ ৭ টাকা ২০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ১৯ লাখ ১২ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন তিন লাখ ৮২ হাজার ৪০০ টাকা। স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লুজারের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বোচ্চ দর কমেছে ১১ দশমিক ৩০ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ ১০ টাকা ২০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট এক কোটি ৬৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৩৩ লাখ ২২ হাজার ৮০০ টাকা। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ইমাম বাটন, এনসিসি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এমবিএল ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, এমারেল্ড অয়েল ও আরামিট সিমেন্ট। আগ্রহ হারানোর শীর্ষে মার্কেন্টাইল ব্যাংক যাযাদি রিপোর্ট গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষে ছিল মার্কেন্টাইল ব্যাংক। বিনিয়োগকারীরা ব্যাংকটির শেয়ার কিনতে আগ্রহী না হওয়ায় সপ্তাহজুড়েই এর দাম কমেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দামে বড় ধরনের পতন হয়েছে। এদিকে বিনিয়োগকারীরা মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ারের প্রতি আগ্রহী না থাকায় সপ্তাহজুড়ে প্রতিষ্ঠানটির মাত্র ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন হয়েছে ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকার শেয়ার। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ (২ টাকা ৫০ পয়সা)। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ১৫ টাকা ৫০ পয়সায়, যা তার আগের সপ্তাহ শেষে ছিল ১৮ টাকা। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এই কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৩৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ রয়েছে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে। বাকি ৩৭ দশমিক ৯১ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনেয়োগকারীদের কাছে আছে ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং বিদেশিদের কাছে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ শেয়ার। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরেই বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ হারানোর তালিকায় শীর্ষে ছিল এআইবিএল ফার্স্ট ইসলামিক মিউচু্যয়াল ফান্ড। সপ্তাহজুড়ে এই ফান্ড ইউনিটের দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪১ শতাংশ। এর পরই রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।