বাজেটের পর বড় দরপতন পুঁজিবাজারে

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট বাজেটে সরকার ঘোষিত প্রণোদনাকে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ স্বাগত জানালেও বড় ধরনের দরপতন হয়েছে। রোববার বাজেটের পর প্রথম কার্যদিবসে দুই স্টক এক্সচেঞ্জেই কমেছে সূচক। দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক (সিএএসপিআই) কমেছে ১৪০ পয়েন্ট। গত বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ঘোষিত বাজেটে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে নগদ লভ্যাংশ প্রদানে আগ্রহী করতে বোনাস লভ্যাংশের ওপর কর প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি রিজার্ভ বা রিটেইনড আর্নিংস মাত্রাতিরিক্ত বাড়ানো হলে সেখানেও বাড়তি কর প্রস্তাব করা হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমাও বাড়ানো হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ আয়কে করমুক্ত করা হয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য যে প্রণোদনা ঘোষণা করা হয়েছে, তাকে স্বাগত জানালেও তার কয়েকটি বিধান নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির রিজার্ভ বা রিটেইনড আর্নিংসের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপের যে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটি নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত মত দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ। রোববার ডিএসই কার্যালয়ে বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানান তারা। এদিকে ডিএসই ও সিএসইতে লেনদেনের শুরুতে সূচক বাড়লেও কিছুক্ষণ পরই তা কমতে শুরু করে। লেনদেন শেষে দুই পুঁজিবাজারে পতনের মুখ দেখে। ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৫৩৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। হাতবদল হওয়া শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৮টির, কমেছে ২০১টির ও অপরিবর্তিত আছে ৫০টির দর। এর আগে গত কার্যদিবসে ডিএসইতে সূচক বাড়ে ৪ পয়েন্ট। মোট লেনদেন হয় ৫৭২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল যে কোম্পানিগুলো, সেগুলো হলো জেএমআই সিরিঞ্জেস, ইউনাইটেড পাওয়ার অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ইস্টার্ন হাউসিং লিমিটেড, বিবিএস কেবলস, নিউ লাইন, ড্রাগন সোয়েটার অ্যান্ড স্পিনিং লিমিটেড, ইস্টার্ন কেবলস, নর্দান ইনসু্যরেন্স, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড ও বিএটিবিসি।