দেশি সুতায় ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার চায় বিটিএমএ

প্রকাশ | ২০ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁওয়ে বিটিএমএ'র বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সংগঠনের নেতারা
২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশি সুতার ওপর ৫ শতাংশ মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করায় দেশের বস্ত্র খাত (কাপড় ও সুতা) আমদানি-নির্ভর হয়ে পড়বে বলে অশঙ্কা করছে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁওয়ে বিটিএমএ'র বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমন আশঙ্কা জানিয়ে দেশি সুতার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন বলেন, টেক্সটাইল সামগ্রীর তৈরির প্রধান কাঁচামাল সুতার ওপর নতুনভাবে ৫ শতাংশ মূল্যসংযোজন কর (ভ্যাট) আরোপ করা হয়েছে। এই ভ্যাট আরোপের ফলে বাংলাদেশের স্পিনিং মিলগুলো ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি প্রত্যাহার করা না হলে বাংলাদেশ আবারও সুতা ও কাপড় আমদানি-নির্ভর দেশে পরিণত হবে। বিটিএমএ সভাপতি আরও জানান, চলতি বাজেটে সুতার ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট রাখার প্রস্তাব বাস্তবায়ন হলে প্রতি কেজি সুতার ওপর সর্বোচ্চ ২৪ টাকা ভ্যাট দিতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে সুতার বর্ধিত মূল্য দিয়ে কোনো ফেবরিক মিল বা তাঁতিরা স্থানীয় সুতা কিনতে আগ্রহী হবে না। বরং বাজারে বিভিন্ন পন্থায় শুল্ক ও কর মুক্তভাবে বিদেশি সুতা আনার পন্থা রয়েছে। ফলে তারা কম দামে বিদেশি সুতার কিনার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠবে। এতে করে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সুতার ওপর ৫ শতাংশ কর প্রত্যাহার করতে হবে। তিনি বলেন, সরকার নির্ধারিত রপ্তানি মূল্যের ওপর দীর্ঘদিন যাবত উৎসে কর কর্তন করে আসছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটেও রপ্তানি মূল্যের ওপর উৎসে আয়কর কর্তনের হার শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ বহাল আছে। এটি রপ্তানি মূল্যের ওপর বিদ্যমান উৎসে আয়কর হারটি অত্যন্ত উৎসাহজনক ও সহনীয়। কিন্তু প্রস্তাবিত বাজেটে এটি বহাল আছে কিনা এ বিষয়ে উলেস্নখ নেই। এতে করে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে। তাই প্রস্তাবিত বাজেটেও এটি আগের মত বহাল রাখার দাবি জানাচ্ছি। বিটিএমএ সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে করযোগ্য পণ্য নামে টেক্সটাইল মেশিনারিজ, যন্ত্রাংশ, কিছু কাঁচামাল ও উপকরণের ওপর ৫ শতাংশ অ্যাডভ্যান্স ট্র্যাক্স (এটি) কর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এরই মধ্যে এই ট্যাক্স কর্তনের প্রস্তাবে বিভিন্ন মিল আমদানিকৃত কাঁচামাল, উপকরণ, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ শুল্কায়ন জটিলতার কারণে বন্ধ পড়ে আছে। এতে মিলগুলোর উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। তাই প্রস্তাবিত বাজেটে ৫ শতাংশ কর কর্তনের প্রস্তাব প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন ছাড়াও সহ-সভাপতি মো. শামসুল আলামিনসহ অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।