ক্ষতিকারক ডিডিটি পাউডার ধ্বংসে সহায়তা দিচ্ছে এফএও

প্রকাশ | ২১ জুন ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক ডিডিটি পাউডার ধ্বংস করতে পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার। এতে সহায়তা দিচ্ছে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ও গেস্নাবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)। এজন্য এফএওর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুদান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং এফএও কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রবার্ট ডি স্যাম্পসন। প্রকল্পটিতে মোট খরচ হবে ৩৫৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে গেস্নাবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ) দেবে ৭০ কোটি ১০ লাখ টাকা এবং এফএও দেবে ৬৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। বাকি ২১৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা সরকারি অর্থায়নে খরচ করা হবে। ইআরডির সচিব মনোয়ার আহমেদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৯৮৫ সালে এই ডিডিটি আমদানি করলেও চালান নেয়ার সময় মেয়াদোত্তীর্ণের বিষয়সহ এর মধ্যে মারাত্মক ক্ষতিকারক উপাদান বিদ্যমান থাকার বিষয়টি উদ্‌ঘাটিত হয়। তবে, এ পর্যন্ত ডিডিটি অপসারণ করা কিংবা বিনষ্ট করা সম্ভব হয়নি। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি মেডিকেল সাব-ডিপোতে দীর্ঘদিন সংরক্ষিত ৫০০ টন মারাত্মক ক্ষতিকারক ডিডিটি পাউডার এবং এই অধিদপ্তরের আরও তিনটি মেডিকেল সাব-ডিপোতে জমানো মেয়াদোত্তীর্ণ ৫০০ টন ক্ষতিকর ডিডিটি পাউডারসহ মোট এক হাজার টন ডিডিটি পাউডার নিরাপদ ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের বাইরে নির্ধারিত স্থানে বিনষ্ট করা। এ ছাড়া, ডিডিটির মাধ্যমে এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনাসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে কর্মশালা, সেমিনার আয়োজন করা এবং পরিবেশ, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ এবং স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত বিভাগগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ অন্যান্য অংশীজনকে নিয়ে মাঠ পর্যায়ে এ বিষয়ক জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণের আয়োজন করাও এই প্রকল্পের অংশ।