আবার তিনশ কোটি টাকায় নামল ডিএসইর লেনদেন

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট নতুন অর্থবছরের (২০১৯-২০) প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর শেয়ার বাজারের মন্দাভাব চলতি সপ্তাহেও অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে ৯ কার্যদিবস পর ডিএসইর লেনদেন আবার তিনশ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণা করা হয়। প্রস্তাবিত বাজাটে শেয়ারবাজারের জন্য বেশকিছু প্রণোদনা দেয়া হয়। কিন্তু বাজেট ঘোষণার পর শেয়ার বাজারের প্রথম কার্যদিবসেই বড় দরপতন হয়, যা পরের কার্যদিবস অব্যাহত থাকে। তবে ১৮ ও ১৯ জুন মূল্য সূচকের কিছুটা উত্থান প্রবণতা দেখা যায়। দুই কার্যদিবস কিছুটা উত্থান প্রবণতা দেখা গেলেও ২০ জুন আবার দরপতন দেখা দেয়। এরপর ২১ ও ২২ জুন সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় শেয়ারবাজারে লেনদেন হয়নি। দুই দিন লেনদেন বন্ধ থাকার পর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস দরপতন দিয়ে শেয়ারবাজারের লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৩৮৩ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৩২ পয়েন্টে। আর ডিএসই-৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে এক হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে উঠে এসেছে। ডিএসইর বাছাই করা কেম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচকটি কিছুটা বাড়লেও লেনদেনে অংশ নেয়া বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৮৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২২১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দাম। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি ডিএসইতে কিছুটা হলেও লেনদেন খরা দেখা দিয়েছে। ৯ জুনের পর লেনদেন আবার তিনশ কোটি টাকার ঘরে নেমে এসেছে। দিনভর ডিএসইতে ৩৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৪৪৫ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ লেনদেন কমেছে ১০৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। টাকার অংকে ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির শেয়ার। কোম্পানিটির ১৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ইস্টার্ন ইনসু্যরেন্সের ১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এবং ১০ কোটি চার লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে গেস্নাবাল ইনসু্যরেন্স। এছাড়া লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে- ফরচুন সুজ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, জেএমআই সিরিঞ্জ, ন্যাশনাল লাইফ ইনসু্যরেন্স, আমান ফিড, মুন্নু সিরামিক এবং সেন্ট্রাল ইনসু্যরেন্স। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই ১৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫০৯ পয়েন্টে। হাত বদল হওয়া ২৫১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬২টির, কমেছে ১৪৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪০টির দাম। লেনদেন হয়েছে ১১৩ কোটি ১৪ লাখ টাকা।