অর্থ মন্ত্রণালয়ে এপিজি-কেন্দ্রীয় ব্যাংক বৈঠক

টাকা পাচার রোধে ইতিবাচক অগ্রগতি বাংলাদেশের

প্রকাশ | ০৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক সংস্থা এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রম্নপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) বেঁধে দেয়া ৪০ শ্রেণীতে অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে বাংলাদেশের ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে। চলতি বছরের মধ্যে এই উন্নতি দৃশ্যমান হবে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা। গতকাল আন্তর্জাতিক সংস্থা এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রম্নপ অন মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) পরিচালক ডেভিট শ্যানন ও মোস্তফা আকবরের সঙ্গে অর্থমন্ত্রণায়ের সভাকক্ষে এ বিষয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। এই প্রতিনিধি দলটি একাধিক সভায় মিলিত হয়ে গতকাল দেশ ত্যাগ করেছে। সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশ ৪০ শ্রেণীতে অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে ২৯ শ্রেণীর মধ্যে আগেই ভালো অবস্থানে ছিল। এখন আরো ৫ শ্রেণীতে উন্নতি করেছে। এতে করে বাংলাদেশ ৪০ শ্রেণীর মধ্যে ৩৪ শ্রেণীতেই ভালো অবস্থানে আছে। যা আনুষ্ঠানিকভাবে চলতি বছরের নভেম্বর ভিয়েনা সভায় ঘোষণা আসতে পারে। আর আগামী ২০১৯ সালের মধ্যে বাকি ৬ শ্রেণীর মধ্যে ৩ শ্রেণীতে উন্নতি করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাকি ৩ শ্রেনীতে উন্নতি করতে হলে কোম্পানি আইন পরিবর্তন করতে হবে। এরমধ্যে কোম্পানি আইন পরিবর্তন হলে বাংলাদেশ সব শ্রেণীতেই উন্নতি করার নিশ্চয়তা পাবে। আর অন্যান্য প্রযুক্তিগত বিষয়ে বাংলাদেশের কিছু ঘার্টতি রয়েছে, যা ইউরোপের অনেক দেশেরও আছে। ফলে সার্বিকভাবে বলা যেতেই পারে বাংলাদেশের অবস্থান এখন অনেক ভালো। এদিকে এপিজির আগের মূল্যায়নে প্রযুক্তিগত পদক্ষেপে (প্রথম ভাগ) ৫ শ্রেণীতে পর্যালোচনা করে সন্তোষজনক রেটিং দেয় সংস্থাটি। দ্বিতীয় ভাগে দেখা হয় জঙ্গি ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধে 'দ্রম্নত পদক্ষেপে'র বিষয়। এক্ষেত্রে ১১টি শ্রেণীর ৫টিতে নিম্নমানের রেটিং, ১টি ভালো ও বাকি ৫টি মধ্য মানের রেটিং দেয়া হয়। তবে সার্বিক মূল্যায়নে বলা হয়, অবস্থা ভালো হয়নি। সর্বশেষ ২১ শ্রেণীতে সফলতা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এ পর্যায়ে রেটিং দেয়া হয় মাঝামাঝি। সার্বিক পর্যালোচনা শেষে এপিজির খসড়া মূল্যায়ন প্রতিবেদনে মন্তব্যে বলা হয়, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে কাঙ্খিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ।