'কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা'

প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পুঁজিবাজারে জ্ঞানভিত্তিক বিনিয়োগ করার সক্ষমতাই বিনিয়োগকারীদের প্রধান পুঁজি। যা অর্থের চেয়ে অনেক মূল্যবান বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এপেক ফাইন্যান্সিয়াল রেগুলেটরস ট্রেইনিং ইনিশিয়েটিভের বিনিয়োগ শিক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই সক্ষমতা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগকে সুরক্ষা দেয়। আর বিনিয়োগ সুরক্ষা শেয়ারবাজারের জন্য খুবই প্রয়োজন। এটা সঠিক দর নির্ধারণ ও কার্যকর বিনিয়োগে উৎসাহিত এবং বৈদেশিক পোর্টফোলিং বিনিয়োগে আকর্ষণ করে। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা দেয়া কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্য। বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় আমরা ৮টি বিষয় অনুসরন করি। এর মধ্যে রয়েছে- জ্ঞানভিত্তিক বিনিয়োগ, সঠিক রুলস রেগুলেশনস গঠন, বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের জন্য বিকল্পের সহজলভ্যতা, কোম্পানির বিশ্বাসযোগ্য তথ্য প্রকাশ, সুশাসন নিশ্চিত করা, প্রাইমারি মার্কেটে বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা এবং শক্তভাবে গুজবকারী ও ইনসাইডার ট্রেডিংয়ে নজরদারি রাখা হয়। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের একমাত্র ব্যক্তি, যিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বিনিয়োগকারী, পলিসি মেকারস ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের সচেতন করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। যিনি ২০১০-১১ সালে বাজারের ধসের কারন হিসাবে শেয়ারবাজারে অংশগ্রহণকারীদের জ্ঞানের ঘাটতিকে চিহ্নিত করেন। ওই সময় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেন। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের সচেতনতা বাড়াতে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দেশব্যাপী বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন, যা বিএসইসি দ্বারা আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে শেয়ারবাজারকে উৎসাহিত করা হয়। এছাড়া দেশের কাঙ্ক্ষিত লক্ষমাত্রা অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেয়ারবাজারের উন্নয়নকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচনা করেন। যে বাজার বাংলাদেশের ২০৪১ সালের অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এসময় শেয়ারবাজারের উন্নয়নে সহযোগিতা ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। খায়রুল হোসেন আরও বলেন, বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষায় স্টক এক্সচেঞ্জ ও কমিশন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে। এছাড়া কোম্পানি আইনও ভূমিকা রাখে। শেষ ২ বছরে স্টেকহোল্ডার ও সরকারের সহযোগিতায় অনেকগুলো সংস্কার করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুশাসন নিশ্চিত, নতুন বিনিয়োগ পণ্যের পরিচিতি করতে এইসব সংস্কার করা হয়েছে।