৩০% শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানির জন্য চলতি মাসেই আলাদা ক্যাটাগরি

প্রকাশ | ০৯ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ- তালিকাভুক্ত এমন কোম্পানিগুলোর জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জে একটি আলাদা ক্যাটাগরি চালু করতে বলেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই ক্যাটাগরি চালুর জন্য বিষয়ে। সম্প্রতি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা। নির্দেশনায় চলতি মাসের মধ্যেই আলোচিত ক্যাটাগরি গঠন করে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। বিএসইসি ও স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বিএসইসির নির্দেশনার প্রেক্ষিতে চলতি মাসেই দুই স্টক এক্সচেঞ্জে আলোচি কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন ক্যাটাগরি চালু হবে বলে জানা গেছে। স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের প্রেক্ষিতে এপ্রিলে বিএসইসির পক্ষ থেকে নূ্যনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যার্থ কোম্পানিগুলোর জন্য একটু আলাদা ক্যাটাকরি চালুর কথা ঘোষণা করে বিএসইসি। পরে গত ২১ মে এই বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক ব্যতীত উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর জন্য দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে তাদের সংশ্লিষ্ট ট্রেডিং বোর্ডে আলাদা একটি ক্যাটাগরি গঠনের জন্য এ নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। উলেস্নখ্য, ২০১০ সালের ধসের পর পুঁজিবাজারে গতি ফেরানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের নূ্যনতম শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করে বিএসইসি। তখন অভিযোগ উঠেছিল, পুঁজিবাজারে বুদ্বুদের পেছনে অনেক কোম্পানির উদ্যোক্তাদেরও পরোক্ষ ভূমিকা ছিল। শেয়ারের দাম বাড়ার পর অনেক কোম্পানির উদ্যোক্তারা বেশিরভাগ শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর বিএসইসি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন অর্ডিন্যান্সের ২ সিসি ধারার আওতায় তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের নূ্যনতম শেয়ার ধারণের শর্ত আরোপ করে নোটিফিকেশন জারি করে। ওই নোটিফিকেশন অনুসারে, তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের (স্বতন্ত্র পরিচালক ছাড়া) সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণ করতে হবে। অন্যদিকে নূ্যনতম ২ শতাংশ শেয়ার না থাকলে কোনো উদ্যোক্তা কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য তথা পরিচালক হতে পারবেন না। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে, আদালত বিএসইসির পক্ষেই রায় দেয়। নূ্যনতম শেয়ার ধারণের নির্দেশনার পর কিছু কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা বাজার থেকে শেয়ার কিনে তাদের কোটা পূরণ করলেও অনেক কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা ওই নির্দেশনা পরিপালন করেনি। এমন অবস্থায় নূ্যনতম ৩০ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ কোম্পানিগুলোর জন্য আলাদা ক্যাটাগরি চালু করার এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা সহজেই এই কোম্পানিগুলোকে চিতে পারে। এদিকে বিএসইসির চিঠির প্রেক্ষিতে দুই স্টক এক্সচেঞ্জই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বলে জানা গেছে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে তথা চলতি মাসেই আলোচিত ক্যাটাগরি চালু করার ব্যাপারে তারা আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।