কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তোয়াক্কা করছে না বাণিজ্যিক ব্যাংক

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ছয় থেকে নয় শতাংশ সুদহার বাস্তবায়নে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে বার বার চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এর ধারে কাছেও নেই বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো। এই মুহূর্তে ৯ থেকে ২০ শতাংশ সুদহার বাস্তবায়নের প্রতিযোগিতা চলছে ব্যাংক খাতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায় ৪ থেকে ২০ শতাংশ সুদে ঋণ বিতরণ করছে বিভিন্ন ব্যাংক। কৃষি খাতে ৯ শতাংশের ওপর ঋণ বিতরণ না করলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ৯ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা আদায় করছে অনেক ব্যাংক। এর মধ্যে রয়েছে এবি ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ডাচ্‌-বাংলা, ইস্টার্ন, এক্সিম, আইসিবি ইসলামী, আইএফআইসি, যমুনা, মিডল্যান্ড, মার্কেন্টাইল, মেঘনা, মধুমতি, মিউচু্যয়াল ট্রাস্ট, ন্যাশনাল, এনসিসি, এনআরবি, এরআরবি কমার্শিয়াল, পদ্মা, প্রিমিয়ার, প্রাইম ব্যাংক, সাউথ-বাংলা এগ্রিকালচার, শাহজালাল ইসলামী, সোশ্যাল ইসলামী, সাউথইস্ট, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, দি সিটি ব্যাংক, ইউসিবি, ইউনিয়ন এবং উত্তরা ব্যাংক উলেস্নখযোগ্য। শুধু ক্ষুদ্র ও মাঝারি ঋণে নয় বৃহৎ শিল্প ঋণ, বাণিজ্য ঋণ ও গৃহনির্মাণ ঋণেও একই অবস্থা। এদিকে স্প্রেড হার এখন পর্যন্ত নির্ধারিত পরিসংখ্যানের বাইরে। আমানতকারীদের যে হারে সুদ বা মুনাফা দেয়া হয় এবং ঋণগ্রহীতাদের কাছ থেকে যে হারে সুদ নেয়া হয়, এই দুই হারের পার্থক্য বা স্প্রেড ৪ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা থাকলেও এখনো তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি বেশিরভাগ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো এই নীতি পালন করলেও এখানে ব্যর্থ হচ্ছে অধিকাংশ বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ৩২টি ব্যাংকের স্প্রেডসীমা এখনো নির্ধারিত সীমার ওপরে। এর মধ্যে সাতটি বিদেশি ও ২৫টি বেসরকারি ব্যাংক। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় বেশি। খেলাপি ঋণের আধিক্য, সঞ্চয়পত্রের সুদহার বাজারভিত্তিক না হওয়া, অসহনীয় মূল্যস্ফীতি, উচ্চ পরিচালন ব্যয় ও অতি মুনাফার প্রবণতাকে দায়ী করছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে ব্যাংকাররা বলছেন, ঘোষণা দিয়ে কখনো স্প্রেড কমানো সম্ভব নয়। কারণ, এটা নির্ভর করে ব্যাংক খাতের ঋণের চাহিদা ও সরবরাহের ওপর।