নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা খুঁজতে কলকাতায় ব্যবসায়ীরা

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
নতুন বাণিজ্য সম্ভাবনা খুঁজে দেখা এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে আরও নিবিড় অংশিদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে কলকাতায় ১৫-১৬ জুলাই সিডবিস্নউবিটিএ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া ট্রেড সামিট-২০১৯ আয়োজন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদলের নেতা হিসেবে সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। এফবিসিসিআই সূত্র জানিয়েছে, সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোর ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে ব্যবসা সম্ভাবনার সন্ধান, বৈদেশিক বাণিজ্য সহজীকরণে সুপারিশমালা প্রণয়ন, রপ্তানি পণ্যের তালিকা নিয়ে আলোচনা এবং তথ্য বিনিময়। কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফরহাদ হাকিম প্রধান অতিথি হিসেবে দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী ড. অমিত মিত্রও অনুষ্ঠানে অংশ নেন। থাইল্যান্ড, বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান এবং ভারতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনস সম্মেলনটির আয়োজন করেছে। এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম সম্মেলনের উদ্বোধন শেষে তার প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। প্রবন্ধে শেখ ফাহিম বাংলাদেশের উদার বিনিয়োগ নীতির উলেস্নখ করে বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য কর অবকাশ, কর অব্যাহতি, ট্যারিফ ফেরত, দ্বৈত কর প্রতিরোধ এবং ১০০% মালিকানাসহ পুঁজি হস্তান্তরের সুযোগ রেখেছে। এফবিসিসিআই সভাপতি বাণিজ্য বহুমুখীকরণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়াজাত পণ্য, ওষুধ, হিমায়িত সামুদ্রিক খাদ্য, সিরামিক, পাটপণ্য, তথ্যপ্রযুক্তি এবং হোম অ্যাপস্নায়েন্স ইত্যাদির সম্ভাবনাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যেহেতু উন্নততর অর্থনৈতিক কাঠামোতে উন্নীত হচ্ছে, তাই সম্ভাবনাময় কিছু খাতে যৌথভাবে কাজ করার সুযোগ রয়েছে: হালকা, মাঝারি ও ভারি শিল্পের জন্য যৌথ উদ্যোগে উচ্চ প্রযুক্তির গবেষণা, উন্নয়ন ও উদ্ভাবন, তৃতীয় শিল্প বিপস্নব থেকে ৪র্থ শিল্প বিপস্নবে উন্নীতকরণের এ লগ্নে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময়, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং রাজস্ব কাঠামো ও নীতি পরিকল্পনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান বিনিময় এবং সমুদ্র অর্থনীতির বিকাশে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ। এফবিসিসিআই সভাপতি এবং সিনিয়র সভাপতির অবর্তমানে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। সম্মেলন শেষে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদল আগামী ১৭ জুলাই ঢাকায় ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।