সব ব্যাংককে চিঠি

পিপলসের সঙ্গে লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পিপলস লিজিংয়ের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিউট ইউনিটের 'গো এএমএল' সফটওয়ারের মাধ্যমে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান খান এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, সোমবার দুপুরে বিএফআইইউর 'গো এএমএল' সফটওয়ারের মাধ্যমে পিপলস লিজিংয়ের সঙ্গে সব ধরনের লেনদেন বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন প্রতিষ্ঠানটির সম্পদ বিষয়ক সব ধরনের সিদ্ধান্ত দেবেন আদালত। অবসায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কতদিন সময় লাগতে পারে সে বিষয়ে সঠিক কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি। পিপলস লিজিংয়ে ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ৭৪৮ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৬৬ দশমিক ১৪ শতাংশ। ধারাবাহিক লোকসানের কারণে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এ প্রতিষ্ঠানটি ২০১৪ সালের পর থেকে কোনো লভ্যাংশ দিতে পারেনি। গত ২১ মে বাংলাদেশ ব্যাংক অর্থমন্ত্রণালয়ে পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নের আবেদন করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৬ জুন অর্থমন্ত্রণালয় তা অনুমোদন দেয়। গত ১০ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক অবসায়নের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৪ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক আদালতে অবসায়ক নিয়োগ দেয়ার জন্য আবেদন করলে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যাবস্থাপক মো. আসাদুজ্জামান খানকে সাময়িকভাবে অবসায়ক নিয়োগ দেন আদালত। উলেস্নখ্য, পিপলস লিজিংয়ের অবসায়নে দায়ের করা বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ৯ পরিচালকসহ ১১ জনের হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলম সরকার। যেসব ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ও স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তারা হলেন- পিএলএফএসএল'র সাবেক পরিচালক এম মোয়াজ্জেম হোসেইন, নারগিস আলামিন, হোমাইরা আলামিন, আরেফিন সামসুল আলামিন, মোহাম্মদ ইউসুফ ইসমাইল, মতিউর রহমান, বিশ্বজিৎ কুমার রায়, খবিরউদ্দিন মিয়া, মোহাম্মদ সহিদুল হক এবং পিএলএফএসএলের শীর্ষ দুই কর্মকর্তা কবির মুস্তাক আহমেদ ও নৃপেন্দ্র চন্দ্র পন্ডিত। ওই ১১ ব্যক্তির সম্পদ ও ব্যাংক হিসাবের ওপর কেন অন্তর্বর্তী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে না, তা-ও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।