৭ দফা দাবিতে পলস্নী সঞ্চয় ব্যাংক কর্মীদের টানা আন্দোলন

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
চাকরি জাতীয়করণসহ সাত দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন পলস্নী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যাংকের কার্যক্রম। গত এক সপ্তাহ ধরে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব ও পলস্নী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে চলছে এই আন্দোলন। ফলে দেশব্যাপী বন্ধ রয়েছে ব্যাংকের লেনদেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একইসঙ্গে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পুনরায় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীদের নেতা জসিম উদ্দিন। গত রোববার (৭ জুলাই) থেকে তারা দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছেন বলে জানিয়েছেন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প (বিলুপ্ত) ও পলস্নী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান। আন্দোলনরতরা জানান, গত ২৭ জুন বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে পলস্নী সঞ্চয় ব্যাংকে কর্মকর্তা পদে ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়। পরে এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করে নিয়োগের স্থগিতাদেশ নেওয়া হয়। বোর্ড কর্তৃপক্ষ এটি মানেনি। আর বিভিন্ন সময় চাকরি স্থায়ী করার দাবি করলে কর্তৃপক্ষ উল্টা বিভিন্ন টার্গেট দেয়। সেই টার্গেট পূরণ করলে চাকরি স্থায়ী করার কথা ছিল। কিন্তু টার্গেট পূরণ করা হলেও চাকরি স্থায়ী হয়নি। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত মাঠ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সারাদেশ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী চলমান এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। তারা বলেন, আমাদের দিয়ে প্রকল্পের কাজ করানো হয়। ব্যাংকের কাজ করানো হয়। \হআমরা অনেকেই বিগত আট বছর ধরে কাজ করছি। কিন্তু আমাদের চাকরি স্থায়ী করা হচ্ছে না। আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হচ্ছে- ২০১৬ সালের ৩০ জুনের আগে নিয়োগ করা একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সব জনবলকে পলস্নী সঞ্চয় ব্যাংকে চাকরি স্থায়ী করে পরিপত্র জারি করতে হবে, স্থানান্তর প্রহসন বন্ধ করে বিগত তিন বছরের ইনক্রিমেন্ট, দৈনিক ভাতা ও সব সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে, সব পদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দিতে হবে, তাদের চাকরি স্থায়ী করার আগে নতুন জনবল (ক্যাশ সহকারী, সিনিয়র অফিসার, উপ-আঞ্চলিক কর্মকর্তা পদে) নিয়োগ দেয়া যাবে না, নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে, উচ্চ আদালতের নিষেধ অমান্য করে দেওয়া নিয়োগ বাতিল করতে হবে এবং আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না। আন্দোলনকারীরা বাংলানিউজকে এও জানান, দাবি আদায় হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন।