কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির প্রতিবেদন

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দেয়া চীনের অর্ধেক ঋণই 'গোপন'

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
গত দশকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে চীনের ঋণ দেয়ার পরিমাণ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে বৈশ্বিক ঋণের মাত্রা অস্বাভাবিক পরিমাণ বেড়ে গেছে। কিন্তু এসব ঋণের অর্ধেকই উন্নয়নশীল দেশগুলোকে 'গোপন' ঋণ হিসেবে দিয়েছে চীন। সম্প্রতি এক নতুন গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর সিএনবিসি। 'গোপন ঋণ' বলতে মূলত যেসব ঋণের তথ্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক বা প্যারিস ক্লাবের মতো আনুষ্ঠানিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে লিপিবদ্ধ নেই, তা বোঝানো হয়। জার্মানিভিত্তিক থিংক ট্যাংক কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমি পরিচালিত এক গবেষণা অনুসারে, ২০০০-১৭ সালের মধ্যে চীনের কাছে অন্যান্য দেশের ঋণের পরিমাণ ১০ গুণ বেড়েছে। ২০০০ সালে যেখানে ঋণের পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার কোটি ডলারের কম, ২০১৭ সালে তা বেড়ে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আরেক হিসাবে ঋণের পরিমাণ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক উৎপাদনের ১ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। প্রতিবেদনটির গবেষকরা জানিয়েছেন, বিপুল পরিমাণ ঋণ দেয়ার মাধ্যমে চীন সহজেই আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংককে ছাড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের বৃহত্তম ঋণদাতায় পরিণত হয়েছে। গবেষণায় ১৯৪৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ১৫২টি দেশকে দেয়া প্রায় দুই হাজারটি চীনা ঋণ পর্যবেক্ষণ করে দেখা হয়েছে। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সুপরিচিত ঋণ বিশেষজ্ঞ কারমেন রেইনহার্ট ও কিয়েল ইনস্টিটিউটের ক্রিস্টোফ ত্রেবেস্ক ও সেবাস্তিয়ান হর্ন গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন। গবেষণা প্রতিবেদনে গবেষকদের প্রাক্কলন অনুসারে, ২০১৫ সালে চীনের কাছ থেকে ঋণগ্রহীতা ৫০টি উন্নয়নশীল দেশের ঋণের স্তর ছিল গড়ে নিজস্ব জিডিপির ১ শতাংশেরও কম। ২০১৭ সালে তা বেড়ে জিডিপির ১৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিপলস ব্যাংক অব চায়নার সার্বভৌম বন্ড ক্রয়ের মাধ্যমে উন্নত ও উচ্চমধ্যম আয়ের দেশগুলো চীনা ঋণ গ্রহণ করে থাকে। ফলে বহু উন্নত দেশ চীনা সরকারের কাছে বড় আকারে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।