উৎপাদন কমার আশঙ্কায় রাশিয়ান গমের বাজার চাঙ্গা

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিশ্বে গম উৎপাদনে রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। তবে রফতানিতে প্রথম। প্রতিকূল আবহাওয়ার জেরে চলতি মৌসুমে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন কৃষি বিভাগ ইউএসডিএ। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পণ্যটির আন্তর্জাতিক বাজারে। সর্বশেষ সপ্তাহে রাশিয়ান গমের রফতানি মূল্য আগের সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়ে গেছে। খবর রয়টার্স ও বিজনেস রেকর্ডার। রাশিয়ায় এখন নতুন মৌসুমের ফসল উঠতে শুরু করেছে। দেশটির কৃষিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আইকেএআরের একটি নোটে বলা হয়েছে, সর্বশেষ সপ্তাহে দেশটির ফ্রি অন বোর্ডে (এফওবি) ১২ শতাংশ প্রোটিনসমৃদ্ধ বস্ন্যাক সি গমের দাম প্রতি টনে দাঁড়ায় ১৯৪ ডলার, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ১ ডলার বেশি। আইকেএআরের তথ্য অনুযায়ী, পণ্যটির দামের পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে ইউএসডিএর গম উৎপাদন হ্রাসের পূর্বাভাস। রাশিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয় চলতি মৌসুমে তাদের গম উৎপাদনের প্রাক্কলন আগের তুলনায় ৪০ লাখ টন কমিয়ে এনেছে। চলতি মৌসুমে রাশিয়ায় সব মিলিয়ে গমের উৎপাদন দাঁড়াতে পারে ৭ কোটি ৪২ লাখ টন। উৎপাদন হ্রাসের প্রভাব পড়তে পারে পণ্যটির রফতানিতে। এ সময় মস্কোর গম রফতানি কমে ৩ কোটি ৪৫ লাখ টনে নেমে আসতে পারে। প্রতিষ্ঠানটির গম রফতানির আগের প্রাক্কলন ছিল ৩ কোটি ৭০ লাখ টন। সে হিসাবে রাশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যটি রফতানির প্রাক্কলন কমানো হয়েছে ২৫ লাখ টন। মস্কোর আরেকটি কৃষিবিষয়ক সংস্থা সভইকনের তথ্য অনুযায়ী, এফওবি চুক্তিতে সর্বশেষ সপ্তাহে গমের রফতানি মূল্য তুলনামূলক স্থিতিশীল ছিল। তবে এ সময় বার্লির দাম প্রতি টনে ৫ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ১৭৩ ডলারে পৌঁছে যায়। সভইকন রাশিয়ার সরকারি তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ১-১১ জুলাই রাশিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে মোট ৫ লাখ ৫ হাজার টন শস্য রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩ শতাংশ কম। এর মধ্যে গম রফতানির হয়েছে ১ লাখ ৯১ হাজার টন।