ব্যাংকের এমডিদের সঙ্গে আজ বসছে বিবি

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
ব্যাংকিং খাতের বিদ্যমান তারল্য সংকট, ঋণ ও আমানতের ঊর্ধ্বমুখী সুদহার নিয়ন্ত্রণ, খেলাপি ঋণের লাগাম টানা, দেউলিয়া আইন প্রবর্তন, আইনি কাঠামো ও অর্থঋণ আদালতের সংস্কার নিয়ে পর্যালোচনা করতে আজ সব ব্যাংক এমডিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতি পর্যালোচনা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম মুদ্রানীতির কৌশল ও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়টিও বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুই বছর ধরেই ব্যাংকিং খাতে তারল্য সংকট চলছে। ঋণ প্রবৃদ্ধির তুলনায় আমানতের প্রবৃদ্ধি অনেক কম হওয়ায় এ সংকট দিন দিন আরও তীব্র হচ্ছে। ফলে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণ বিতরণ করতে পারেনি ব্যাংকগুলো। ২০১৮ সালের মে থেকে ২০১৯ সালের মে পর্যন্ত এক বছরে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে মাত্র ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ। যদিও এ সময়ে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মুদ্রানীতির এ সূচকের পাশাপাশি অন্য অনেক লক্ষ্যও বাস্তবায়ন হয়নি। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন গুণেরও বেশি ঋণ গেছে সরকারি খাতে। চলতি অর্থবছরে সরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে। এ অবস্থায় ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়নের কাজ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজকের বৈঠকে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংক এমডিদের কাছে মতামত চাওয়া হতে পারে। তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংকঋণের সুদহার ১২ থেকে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত উঠেছে। যদিও সরকার কয়েক দফায় ঘোষণা দিয়েছে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার। বেসরকারি খাতের বেশির ভাগ ব্যাংক এখনো ১০ শতাংশের বেশি সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করছে। এ অবস্থায় ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার ঘোষণা বাস্তবায়ন হবে না বলেই মনে করছেন ব্যাংকাররা। যদিও গত সপ্তাহেই প্রতিশ্রম্নতি অনুযায়ী ঋণের সুদহার সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে ব্যাংক এমডিদের চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।