সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
১ লাখ ৬৭ হাজার বিও হিসাব কমেছে যাযাদি রিপোর্ট গত দেড় মাসে পুঁজিবাজারে ১ লাখ ৬৭ হাজার বিও হিসাব কমে গেছে। নির্ধারিত সময়ে রক্ষণাবেক্ষণ ফি পরিশোধ না করায় মূলত এসব হিসাব বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। পুঁজিবাজারে চলমান টানা মন্দাবস্থা, নতুন বাজেট ঘোষণার পরও বাজারে ইতিবাচক কোনো পরিবর্তন না আসা এবং প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট হিসাবধারীরা বার্ষিক নবায়ন ফি পরিশোধ করেননি বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা। সিডিবিএল এর পরিসংখ্যান অনুসারে, গত ৩ জুন মোট বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ২৬টি। গত ১৭ জুলাই তা কমে দাঁড়িয়েছে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৩৯টি। আলোচিত সময়ে পুরুষ বিনিয়োগকারীর সংখ্যা ১ লাখ ২১ হাজার ২৪০টি কমে ১৯ লাখ ৫৫ হাজার ৪৫৬ জন হয়েছে। আর নারী বিনিয়োগকারী বা বিও হিসাবের সংখ্যা ৭ হাজার ৫৫ লাখ ৭৫ থেকে কমে ৭ লাখ ৪৯ হাজার ৫১ হয়েছে। নারী বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমেছে ৫০ হাজার ১২৪ জন। উলেস্নখ, বিও হিসাব হচ্ছে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য বিশেষায়িত হিসাব। একবার খোলার পর প্রতিবছর ৩০ জুনের মধ্যে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে এই হিসাব নবায়ন করতে হয়, যা বিও হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি নামে পরিচিত। বর্তমানে এই ফি'র পরিমাণ ৪৫০ টাকা। এর মধ্যে সিডিবিএল ১০০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান (ডিপি ব্রোকারেজহাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক) ১০০ টাকা, বিএসইসি ৫০ টাকা পেয়ে থাকে। আর বিএসইসির মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হয় বাকি ২০০ টাকা। সপ্তাহে দর বাড়ার শীর্ষে ছিল যারা যাযাদি রিপোর্ট সপ্তাহ লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহে টপটেন গেইনার বা দর বাড়ার শীর্ষে উঠে এসেছে এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড। সপ্তাহে ফান্ডটির সর্বচ্চ দর বেড়েছে ৫৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ডিএসইর সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য অনুযায়ী, ফান্ডটি সর্বশেষ ২৭ টাকা ৮০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটি সর্বমোট ৫৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৪০০ টাকা। গেইনারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড। সপ্তাহে ফান্ডটির সর্বচ্চ দর বেড়েছে ৩৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। ফান্ডটি সর্বশেষ ১০ টাকা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটি সর্বমোট ১ কোটি ২৭ লাখ ১১ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ২৫ লাখ ৪২ হাজার ২০০ টাকা। ভ্যানগার্ড এএমএল বিডি ফিন্যান্স মিউচু্যয়াল ফান্ড ওয়ান গেইনারের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সপ্তাহে ফান্ডটির সর্বচ্চ দর বেড়েছে ১৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। ফান্ডটি সর্বশেষ ৯ টাকা ৩০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটি সর্বমোট ৮৭ লাখ ১৮ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ১৭ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- ফরচুন সুজ, এসইএমএল লেকচার ইকু্যইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড, এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড, ন্যাশনাল পলিমার, বিকন ফার্মা, ইউনাইটেড ইন্সু্যরেন্স ও ঢাকা ইন্সু্যরেন্স। সপ্তাহে দর পতনের শীর্ষে ছিল যারা যাযাদি রিপোর্ট সপ্তাহ লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহে টপটেন লুজার বা দর পতনের শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্স। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বচ্চ দর কমেছে ৩৪ দশমিক ০৯ শতাংশ। ডিএসইর সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়। তথ্য অনুযায়ী, শেয়ারটি সর্বশেষ ২ টাকা ৯০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ১০ লাখ ৪১ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ২ লাখ ৮ হাজার ২০০ টাকা। লুজারের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফার্স্ট ফিন্যান্স। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বচ্চ দর কমেছে ২৭ দশমিক ২৭ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ ৪ টাকা ১০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ২১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৮০০টাকা। ফারইস্ট ফিন্যান্স লুজারের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। সপ্তাহে শেয়ারটির সর্বচ্চ দর কমেছে ২৩ দশমিক ৯১ শতাংশ। কোম্পানিটি সর্বশেষ ৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটি সর্বমোট ৩২ লাখ ৯২ হাজার টাকা লেনদেন করে। যা গড়ে প্রতিদিন ৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪০০ টাকা। তালিকায় থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- প্রগতি লাইফ ইন্সু্যরেন্স, এমারেল্ড অয়েল, আল-হাজ টেক্সটাইল মিলস, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, ডেল্টা স্পিনার্স ও মুন্নু সিরামিক। সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে ছিল যারা যাযাদি রিপোর্ট সপ্তাহ লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ফরচুন সুজ। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২ কোটি ৫১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৯৪টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৯৬ কোটি ৪৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ডিএসইর সপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া যায়। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার। কোম্পানিটির ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮০ টি শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি ৮৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা।