৩ শতাংশ কমছে এনজিও ঋণের সুদহার

প্রকাশ | ২২ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের শর্ত পূরণের জন্য এনজিওগুলোর পরিচালিত ক্ষুদ্রঋণকে সুদের হার তিন শতাংশ কমিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান সহজ এবং উন্নত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এজন্য এনজিওদের ঋণের সুদের হার ২৭ শতাংশের উপরে থাকলেও তা ২৪ শতাংশে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ)। চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি। প্রসঙ্গত, এনজিও এবং মাইক্রো ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনের (এমএফআই) ক্ষুদ্রঋণ অপারেশন নিরীক্ষণ এবং তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় সংস্থা এমআরএ। দেশের বেসরকারি পর্যায়ে ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনা পালনাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোতে অধিকতর স্বচ্ছতা কার্যকর করতে ২০০৬ সালে মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি (এমআরএ) প্রতিষ্ঠা করে। আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিতে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা নীতিমালা প্রণয়নের এখতিয়ার এমআরএকে দেয়া হয়েছে। এমআরএ'র প্রবিধান অনুযায়ী, এনজিওদের ঋণের সুদের ২৭ শতাংশের উপরে চার্জ করা যাবে না। মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি সূত্র মতে, পরিচালনা বোর্ডের ৪৬তম সভায় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রদত্ত ঋণের সার্ভিস চার্জের হার যৌক্তিকিকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়নের জন্য পলস্নী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামান আহমদকে সভাপতি করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি রয়েছেন। ওই কমিটির প্রথম সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের এনজিও গুলোর ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি গঠন করা হয়। ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটির প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে একটি সুপারিশ প্রদান করে যৌক্তিকিকরণ কমিটি। অর্থ মন্ত্রনালয়ের দেয়া এমআরএ তথ্য মতে, ৬৭৯টি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক বিবরণী বিশ্লেষণ অনুযায়ী এনজিওগুলির গড় ব্যয় এখন ২০ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর মধ্যে আর্থিক ব্যয় ৬ দশমিক ১০ শতাংশ, প্রশাসনিক এবং অন্যান্য খরচ ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং এলএলপি ব্যয় ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। এরপর গত ১৯ জুন এমআরএ পরিচালনা বোর্ডের সভায়-কমিটির সুপারিশের আলোকে এনজিও ঋণের সুদের হার ২৪ শতাংশের পুনর্নির্ধারণ করা হয়।