কৃষি যন্ত্রপাতি ঋণে অমনোযোগী ব্যাংক

ম কৃষি নীতিমালার তোয়াক্কা করছে না ব্যাংকগুলো ম বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারির ঘাটতির অভিযোগ ম ভারতে প্রতি কোয়ার্টারে ব্যাংকগুলোকে যন্ত্রপাতি ঋণের রিপোর্ট দিতে হয় ম দেশে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে ম তরুণদের কৃষিতে আগ্রহী করতে যান্ত্রিকীকরণ জরুরি

প্রকাশ | ০৪ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আহমেদ তোফায়েল প্রতি বছর কৃষিঋণে বড় অংকের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষাণা করা হলেও কৃষকদের 'কৃষিযন্ত্রপাতি' কেনায় ঋণ দিতে ব্যাংকগুলো একেবারেই অমনোযোগী। এমনকি এ খাতে ঋণের কত শতাংশ বিতরণ করে ব্যাংকগুলো তারও কোনো পরিসংখ্যান নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে। অথচ ভারতে ব্যাংকগুলোকে প্রতি কোয়ার্টারে এ খাতে ঋণ বিতরণের প্রতিবেদন তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিতে হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের কৃষিখাত টিকিয়ে রাখতে হলে এখানে ঋণ দেয়া অত্যাবশ্যক। কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়লে কৃষকের উৎপাদন ব্যয়ও কমে। যেমন, এক একর জমিতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে একজন কৃষকের ১২ হাজার টাকা লাগে। যন্ত্রের ক্ষেত্রে লাগে ৭-৮ হাজার টাকা। জানতে চাইলে এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস যায়যায়দিনকে বলেন, কৃষি যন্ত্রপাতি এখন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। এর কারণ কৃষিতে ৪০ শতাংশ শ্রমিক সংকট। যান্ত্রিকীকরণ না হলে কৃষিকাজ করা কঠিন। যন্ত্রে উৎপাদন খরচ কম পড়ে। তরুণদের কৃষিতে আগ্রহী করতে যান্ত্রিকীকরণ জরুরি। সুব্রত রঞ্জন বলেন, এ দেশে কৃষিযন্ত্র কেনার জন্য কোনো ঋণের ব্যবস্থা নেই। কেবল কৃষি ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ( রাকাব) কিছু ঋণ দিচ্ছে সেটা যথেষ্ট নয়। একটা হারভেস্টরের দাম ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ট্রাক্টর ১০-১৫ লাখ টাকা। রোপণযন্ত্র ৪-৫ লাখ টাকা। এত দামি যন্ত্র কৃষকের পক্ষে কেনা কঠিন। এ ক্ষেত্রে কম সুদ তো দূরের কথা, ব্যাংক ঋণই পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, কৃষক ও গ্রামীণ উদ্যোক্তারা সাধারণ হারে হলেও ঋণ পেতে চান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নীতি আছে যে, যান্ত্রিকীকরণে ঋণ দিতে হবে। কিন্তু সেখানে নজরদারি নেই। ভারতে ব্যাংকে নজরদারি করা হয়, ব্যাংকগুলো কত ঋণ দিল, তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা আছে। প্রতি কোয়ারে তাদের রিপোর্ট দিতে হয়। তাদের ব্যাংক কৃষকের পেছনে ছোটে। আরেকটি বিষয় হলো, দেশে এখন প্রচুর তরুণ শিক্ষিত বেকার। তারা কৃষি কাজে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আবার চাকরির বাজার ছোট। এ ক্ষেত্রে তরুণদের কৃষিযন্ত্র কেনায় ঋণ দিলে তাদের বেকারত্ব ঘুচতে পারে। এ ছাড়া যান্ত্রিকীকরণ মানে হলো জীবনযাত্রার মান বাড়ানো। এটা সরকারেরও লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে যারা কাজ করছে, তাদের সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি দিয়ে হলেও উৎসাহ দেয়া উচিত। কৃষককে নানা পুরস্কার দেয়া হয়। কিন্তু গ্রামে যেসব মানুষ যান্ত্রিক সহায়তা দিচ্ছে, তারাও তো স্বীকৃতি পেতে পারে। আমরা কৃষককে প্রচুর টাকা বাকি দিই। এ ধরনের কোম্পানিকে ঋণ দেয়া ও সুদের হারের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে বিবেচনা করা উচিত। যদিও কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন যন্ত্রে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়। তবে সংখ্যার দিক দিয়ে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ হলেও কৃষি সেক্টরে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর দেশে কৃষি প্রযুক্তি যান্ত্রিকীকরণে স্বর্ণযুগের শুরু হয়। ওই বছর বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কৃষি যন্ত্রপাতির ওপর থেকে 'কৃষি যন্ত্রপাতির মান নিয়ন্ত্রণ কমিটি'র শর্তগুলো শিথিল করে দেশে পাওয়ার টিলার আমদানি বেড়ে যায়। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে চাষের পর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় বীজ বপন, গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ, শস্য কর্তন, শস্য মাড়াই, শস্য ঝাড়াইসহ অন্যান্য নানা কাজে কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এটিএম জিয়াউদ্দিন মনে করেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে ফসলের উৎপাদন খরচ যেমন অনেকাংশে কমে যায়, একই সাথে ফসলের নিবিড়তা ৫-২২ ভাগ বেড়ে যায়। এছাড়াও বীজ বপন যন্ত্র দ্বারা ফসল মাঠে বুনলে বীজ ২০ ভাগ সাশ্রয়ের পাশাপাশি সার ১৫-২০ সাশ্রয় হয়। অন্যদিকে ফসলের উৎপাদনও ১২-৩৪ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে কৃষকের মোট আয় বেড়ে যায় ২৯-৪৯ ভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, জমি তৈরি বা চাষাবাদের ক্ষেত্রে এখন ৯৫ শতাংশ কাজ যন্ত্রের মাধ্যমে হচ্ছে। সে কারণে বছরে ৮-৯ হাজার ট্রাক্টর দেশে আমদানি হচ্ছে। পাওয়ার টিলার আসছে ৫০-৬০ হাজার। ১৯৯৩ সালে কৃষিযন্ত্রের বাজারে প্রবেশ করে মেটাল গ্রম্নপ। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিদ জামিল জানান, একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টরের দাম ২০ লাখ টাকা। নগদ টাকায় এটা কেনা কঠিন। এ ক্ষেত্রে আমরা চাই, কৃষককে ঋণ দেয়া হোক। এখন কৃষি খাতে যে ঋণ দেয়া হচ্ছে, সেখানে কৃষিযন্ত্রে ঋণ দেয়া বাধ্যতামূলক করলে কৃষকের জন্য খুবই সুবিধাজনক হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ হবে না। কারণ, ব্যাংকঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে ওই যন্ত্রটাই রাখতে পারবে। তিনি জানান, এখন এ ক্ষেত্রে একটি উদ্যোক্তা শ্রেণি গড়ে উঠছে। কিছু এলাকায় ছোট ছোট কোম্পানি গড়ে উঠছে, যারা এসব যন্ত্র কিনে অর্থের বিনিময়ে চাষাবাদ ও মাড়াই করে দেয়। গ্রামের শিক্ষিত তরুণ ও বিদেশফেরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বড় উৎস হতে পারে কৃষিযন্ত্রের ব্যবসা। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে বর্তমানে জমি কর্ষণের কাজে নিয়োজিত ট্রাক্টরের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৪১৮, পাওয়ার টিলারের সংখ্যা ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৩, উইডার ১ লাখ ৪৫ হাজার ১০৩, পাওয়ার টিলার চালিত রিপার ১২৯, স্বচালিত রিপার ২১৬, ফসল মাড়াই যন্ত্র ৪ হাজার ২০৫, পাওয়ার থেসার ১, লাখ ৪, হাজার ৪৫৯, পদচালিত থ্রেসার ৩, লাখ ২০ হাজার ৪৩৫ এবং কমবাইন্ড হারভেস্টার ২৩। প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র এবং এদের খুচরো যন্ত্রাংশ মিলে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার সৃষ্টি হয়েছে।
আহমেদ তোফায়েল প্রতি বছর কৃষিঋণে বড় অংকের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষাণা করা হলেও কৃষকদের 'কৃষিযন্ত্রপাতি' কেনায় ঋণ দিতে ব্যাংকগুলো একেবারেই অমনোযোগী। এমনকি এ খাতে ঋণের কত শতাংশ বিতরণ করে ব্যাংকগুলো তারও কোনো পরিসংখ্যান নেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে। অথচ ভারতে ব্যাংকগুলোকে প্রতি কোয়ার্টারে এ খাতে ঋণ বিতরণের প্রতিবেদন তাদের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে দিতে হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের কৃষিখাত টিকিয়ে রাখতে হলে এখানে ঋণ দেয়া অত্যাবশ্যক। কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়লে কৃষকের উৎপাদন ব্যয়ও কমে। যেমন, এক একর জমিতে ধান কাটা ও মাড়াইয়ে একজন কৃষকের ১২ হাজার টাকা লাগে। যন্ত্রের ক্ষেত্রে লাগে ৭-৮ হাজার টাকা। জানতে চাইলে এসিআই মোটরসের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস যায়যায়দিনকে বলেন, কৃষি যন্ত্রপাতি এখন অত্যাবশ্যকীয় হয়ে পড়েছে। এর কারণ কৃষিতে ৪০ শতাংশ শ্রমিক সংকট। যান্ত্রিকীকরণ না হলে কৃষিকাজ করা কঠিন। যন্ত্রে উৎপাদন খরচ কম পড়ে। তরুণদের কৃষিতে আগ্রহী করতে যান্ত্রিকীকরণ জরুরি। সুব্রত রঞ্জন বলেন, এ দেশে কৃষিযন্ত্র কেনার জন্য কোনো ঋণের ব্যবস্থা নেই। কেবল কৃষি ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ( রাকাব) কিছু ঋণ দিচ্ছে সেটা যথেষ্ট নয়। একটা হারভেস্টরের দাম ১০ থেকে ৩০ লাখ টাকা। ট্রাক্টর ১০-১৫ লাখ টাকা। রোপণযন্ত্র ৪-৫ লাখ টাকা। এত দামি যন্ত্র কৃষকের পক্ষে কেনা কঠিন। এ ক্ষেত্রে কম সুদ তো দূরের কথা, ব্যাংক ঋণই পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, কৃষক ও গ্রামীণ উদ্যোক্তারা সাধারণ হারে হলেও ঋণ পেতে চান। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি নীতি আছে যে, যান্ত্রিকীকরণে ঋণ দিতে হবে। কিন্তু সেখানে নজরদারি নেই। ভারতে ব্যাংকে নজরদারি করা হয়, ব্যাংকগুলো কত ঋণ দিল, তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা আছে। প্রতি কোয়ারে তাদের রিপোর্ট দিতে হয়। তাদের ব্যাংক কৃষকের পেছনে ছোটে। আরেকটি বিষয় হলো, দেশে এখন প্রচুর তরুণ শিক্ষিত বেকার। তারা কৃষি কাজে যেতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আবার চাকরির বাজার ছোট। এ ক্ষেত্রে তরুণদের কৃষিযন্ত্র কেনায় ঋণ দিলে তাদের বেকারত্ব ঘুচতে পারে। এ ছাড়া যান্ত্রিকীকরণ মানে হলো জীবনযাত্রার মান বাড়ানো। এটা সরকারেরও লক্ষ্য। এ ক্ষেত্রে যারা কাজ করছে, তাদের সরকারের পক্ষ থেকে স্বীকৃতি দিয়ে হলেও উৎসাহ দেয়া উচিত। কৃষককে নানা পুরস্কার দেয়া হয়। কিন্তু গ্রামে যেসব মানুষ যান্ত্রিক সহায়তা দিচ্ছে, তারাও তো স্বীকৃতি পেতে পারে। আমরা কৃষককে প্রচুর টাকা বাকি দিই। এ ধরনের কোম্পানিকে ঋণ দেয়া ও সুদের হারের ক্ষেত্রে আলাদাভাবে বিবেচনা করা উচিত। যদিও কৃষি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন যন্ত্রে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেয়। তবে সংখ্যার দিক দিয়ে সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ হলেও কৃষি সেক্টরে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ১৯৮৮ সালের ভয়াবহ বন্যার পর দেশে কৃষি প্রযুক্তি যান্ত্রিকীকরণে স্বর্ণযুগের শুরু হয়। ওই বছর বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কৃষি যন্ত্রপাতির ওপর থেকে 'কৃষি যন্ত্রপাতির মান নিয়ন্ত্রণ কমিটি'র শর্তগুলো শিথিল করে দেশে পাওয়ার টিলার আমদানি বেড়ে যায়। কৃষি যান্ত্রিকীকরণে চাষের পর প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় বীজ বপন, গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগ, শস্য কর্তন, শস্য মাড়াই, শস্য ঝাড়াইসহ অন্যান্য নানা কাজে কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি শক্তি ও যন্ত্র বিভাগের প্রফেসর ড. প্রকৌশলী এটিএম জিয়াউদ্দিন মনে করেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে ফসলের উৎপাদন খরচ যেমন অনেকাংশে কমে যায়, একই সাথে ফসলের নিবিড়তা ৫-২২ ভাগ বেড়ে যায়। এছাড়াও বীজ বপন যন্ত্র দ্বারা ফসল মাঠে বুনলে বীজ ২০ ভাগ সাশ্রয়ের পাশাপাশি সার ১৫-২০ সাশ্রয় হয়। অন্যদিকে ফসলের উৎপাদনও ১২-৩৪ ভাগ বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে কৃষকের মোট আয় বেড়ে যায় ২৯-৪৯ ভাগ। সংশ্লিষ্টরা জানান, জমি তৈরি বা চাষাবাদের ক্ষেত্রে এখন ৯৫ শতাংশ কাজ যন্ত্রের মাধ্যমে হচ্ছে। সে কারণে বছরে ৮-৯ হাজার ট্রাক্টর দেশে আমদানি হচ্ছে। পাওয়ার টিলার আসছে ৫০-৬০ হাজার। ১৯৯৩ সালে কৃষিযন্ত্রের বাজারে প্রবেশ করে মেটাল গ্রম্নপ। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিদ জামিল জানান, একটি কম্বাইন্ড হারভেস্টরের দাম ২০ লাখ টাকা। নগদ টাকায় এটা কেনা কঠিন। এ ক্ষেত্রে আমরা চাই, কৃষককে ঋণ দেয়া হোক। এখন কৃষি খাতে যে ঋণ দেয়া হচ্ছে, সেখানে কৃষিযন্ত্রে ঋণ দেয়া বাধ্যতামূলক করলে কৃষকের জন্য খুবই সুবিধাজনক হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ হবে না। কারণ, ব্যাংকঋণের বিপরীতে জামানত হিসেবে ওই যন্ত্রটাই রাখতে পারবে। তিনি জানান, এখন এ ক্ষেত্রে একটি উদ্যোক্তা শ্রেণি গড়ে উঠছে। কিছু এলাকায় ছোট ছোট কোম্পানি গড়ে উঠছে, যারা এসব যন্ত্র কিনে অর্থের বিনিময়ে চাষাবাদ ও মাড়াই করে দেয়। গ্রামের শিক্ষিত তরুণ ও বিদেশফেরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের বড় উৎস হতে পারে কৃষিযন্ত্রের ব্যবসা। পরিসংখ্যান বলছে, বাংলাদেশে বর্তমানে জমি কর্ষণের কাজে নিয়োজিত ট্রাক্টরের সংখ্যা ৫৬ হাজার ৪১৮, পাওয়ার টিলারের সংখ্যা ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৮৫৩, উইডার ১ লাখ ৪৫ হাজার ১০৩, পাওয়ার টিলার চালিত রিপার ১২৯, স্বচালিত রিপার ২১৬, ফসল মাড়াই যন্ত্র ৪ হাজার ২০৫, পাওয়ার থেসার ১, লাখ ৪, হাজার ৪৫৯, পদচালিত থ্রেসার ৩, লাখ ২০ হাজার ৪৩৫ এবং কমবাইন্ড হারভেস্টার ২৩। প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার বাজারে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র এবং এদের খুচরো যন্ত্রাংশ মিলে প্রতি বছর প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার বাজার সৃষ্টি হয়েছে।