কোরবানির ঈদের আগে প্রবাসী আয়ে গতি

প্রকাশ | ০৬ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন সারাবিশ্বে অবস্থানরত প্রবাসীরা। জুলাই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৯ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। ঈদ সামনে রেখে আগস্ট মাসে প্রবাসী আয় আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তারা জানান, প্রবাসী আয় এমনিতেই ভালো ছিল। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে পশু কেনা ও প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করতে প্রবাসীরা বেশি করে অর্থ পাঠাচ্ছেন। সে কারণেই বাড়ছে। সদ্য শেষ হওয়া অর্থবছরে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬ বিলিয়ন ডলার। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের জুলাই মাসে (১ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত) ১৩০ কোটি ২১ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এর মধ্যে ১ থেকে ৫ জুলাই এসেছে ২৭ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার ডলার। আর ৬ থেকে ১২ জুলাই ৪২ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার ডলার। ১২ থেকে ১৯ জুলাই ৩২ কোটি ৬০ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং ২০ থেকে ২৬ জুলাই পর্যন্ত ২৭ কোটি ৯৩ লাখ ৩৯ হাজার ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, জুলাই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ৩৭ কোটি ৭৭ লাখ ৯০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৬৬ লাখ ডলার, বেসরকারি ৪০টি ব্যাংকের মাধ্যমে ১১৮ কোটি ২৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, এর আগে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল জানুয়ারি মাসে, ১৫৯ কোটি ৭২ লাখ ডলার। এর আগে সদ্য শেষ হওয়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) এক হাজার ৬৪১ কোটি ৯৬ লাখ ডলার (১৬ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার) প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা- যা ছিল গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৪৯৮ কোটি ১৭ লাখ (১৪.৯৮ বিলিয়ন) ডলারের প্রবাসী আয় পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা- যা ছিল ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চেয়ে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। প্রবাসী আয় বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়নও (রিজার্ভ) সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। ৭ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মার্চ-এপ্রিল মেয়াদের ১২৪ কোটি ১০ লাখ ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পরও রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের উপরে অবস্থান করছে মূলত প্রবাসী আয় বৃদ্ধির কারণে।বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলংকা ও মালদ্বীপ- এই নয়টি দেশ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দুই মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। স্থানীয় বাজারে ডলারের উচ্চমূল্য এবং হুন্ডি ঠেকাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে প্রবাসী আয় বেড়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।