ভিড় নেই নতুন টাকার কাউন্টারে

প্রকাশ | ০৭ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন টাকা বিতরণ কাউন্টারের চিত্র - যাযাদি
ঈদ আসলেই চাহিদা বাড়ে নতুন টাকার। লাইনের পর লাইন এবং গায়ের উপর হুমড়ি খেয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা যায় পুরো সপ্তাহ জুড়ে। গত ১ আগস্ট থেকে নতুন টাকা বিতরণ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ ৩০টি ব্যাংক। কিন্তু কাউন্টারগুলোতে নতুন টাকার গ্রাহকদের উপস্থিতি খুবই কম। ফলে অনেকটা অলস সময় পার করতে দেখা যায় কর্মকর্তাদের। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, নতুন টাকা বিতরণের কাউন্টারগুলোতে কর্মকর্তারা অলস সময় পার করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন টাকা বিতরণ কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, একজন কর্মকর্তা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। জানতে চাইলে তিনি জানান, এই ঈদে নতুন টাকা বিতরণের কোনো চাপ থাকে না। লোকজনের ভিড় না থাকায় অন্য কাজে ব্যস্ত তিনি। এদিকে সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়েও দেখা যায় একই চিত্র। নতুন টাকা নিতে আসা গ্রাহকের সংখ্যা একেবারেই কম। তবে যারা আসছেন তার নতুন টাকা পেয়ে যাচ্ছেন খুব সহজেই। এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংকের লোকাল ব্র্যাঞ্চের জেনারেল ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানান, বরাবরই রোজার ঈদে নতুন টাকার চাপ বেশি থাকে। কিন্তু কোরাবানি ঈদে থাকে না। তারপরেও আমরা টাকা রেখেছি গ্রাহকদের জন্য। চাহিদা অনুযায়ী বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া দীর্ঘ ছুটিতে ব্যাংকের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথাও জানান তিনি। ৮ আগস্ট পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া) বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় করা হবে। এছাড়া, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের নিম্নবর্ণিত শাখাগুলো থেকেও এই সময়ে ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে। একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না। তবে নোট উত্তোলনকালে কেউ ইচ্ছা করলে কাউন্টার থেকে মূল্যমান নির্বিশেষে যে কোনো মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করতে পারবেন। ৩০টি ব্যাংক ও শাখা থেকে নতুন নোট বিনিময় করা যাচ্ছে। সেগুলো হলো: ঢাকাস্থ এনসিসি ব্যাংকের যাত্রাবাড়ী শাখা, জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোড কর্পোরেট শাখা, অগ্রণী ব্যাংকের জাতীয় প্রেসক্লাব কর্পোরেট শাখা, এনআরবি গেস্নাবাল ব্যাংকের মিরপুর শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কারওরান বাজার শাখা, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা, উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার শাখা, সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা, ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা, আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা, ন্যাশনাল ব্যাংকের মহাখালী শাখা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা, জনতা ব্যাংকের রাজারবাগ শাখা, পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা, সাউথইস্ট ব্যাংকের কাকরাইল শাখা, ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা, ব্র্যাক ব্যাংকের শ্যামলী শাখা, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের এসএমই এন্ড এগ্রিকালচার শাখা, দক্ষিণখান, দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের বনানী শাখা, ব্যাংক এশিয়া লি. এর ধানমন্ডি শাখা, দি সিটি ব্যাংকের বেগম রোকেয়া সরণি শাখা, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নন্দীপাড়া শাখা, প্রাইম ব্যাংকের অ্যালিফেন্ট রোড শাখা, নারায়ণগঞ্জের মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নারায়ণগঞ্জ শাখা এবং এক্সিম ব্যাংকের শিমরাইল শাখা, গাজীপুরের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. এর গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা এবং ইউসিবিএলের গাজীপুর চৌরাস্তা শাখা, সাভারের উত্তরা ব্যাংকের সাভার শাখা ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাভার শাখা এবং ট্রাস্ট ব্যাংকের কেরানীগঞ্জ শাখা।