বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজার :শীর্ষে পৌঁছানো নিয়ে চাপে হুয়াওয়ে

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি ডেস্ক ২০১৯ সালের মধ্যেই সরবরাহ বিবেচনায় বিশ্বের বৃহৎ স্মার্টফোন নির্মাতা হওয়ার লক্ষ্য ছিল হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি লিমিটেডের। কিন্তু গত মে মাসে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা এবং কালো তালিকাভুক্তির কারণে লক্ষ্যে পৌঁছানো নিয়ে চাপে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। খবর রয়টার্স। দক্ষিণ চীনের ডংগুয়ানে এক ডেভেলপার সম্মেলনে হুয়াওয়ে কনজিউমার বিজনেস গ্রুপের প্রধান রিচার্ড ইয়ু বলেন, বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার কবলে না পড়লে চলতি বছর তারা ৩০ কোটি ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহে সক্ষম হতেন। এর ফলে চলতি বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকের মধ্যে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থানে পৌঁছানো সম্ভব ছিল। কিন্তু সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা মনে করছি পূর্বঘোষিত সময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না। এ লক্ষ্য অর্জনে আমাদের আরও কিছুটা সময় লাগবে। স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ডিভাইসের জন্য 'হারমনি' নামে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। এর ফলে ভবিষ্যতে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বা অন্য কোনো কারণে নিজেদের ডিভাইসে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার থেকে সরে আসতে হলে খুব একটা সমস্যায় পড়বে না প্রতিষ্ঠানটি। রিচার্ড ইয়ু বলেন, হারমনি অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। হুয়াওয়ের নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমের বৈশ্বিক নাম হারমিন হলেও চীনে এ অপারেটিং সিস্টেমের নাম হংমেং। চাইলে এখন থেকে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম স্মার্টফোন ডিভাইসে ব্যবহার করা সম্ভব। কিন্তু আমরা অ্যান্ড্রয়েড পস্নাটফর্ম ব্যবহার অব্যাহত রাখতে চাই। ভবিষ্যতে ডিভাইস ব্যবসা নিয়ে নতুন কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে তবেই আমরা নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমচালিত স্মার্টফোন সরবরাহ করব। গত মাসে সাংহাইয়ে অনুষ্ঠিত সিইএস এশিয়া টেকনোলজি শোতে হুয়াওয়ের কনজিউমার বিজনেস গ্রুপের চিপ স্ট্র্যাটেজি অফিসার শাও ইয়াং জানান, বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে হুয়াওয়ে এ মুহূর্তে প্রতিদিন পাঁচ থেকে ছয় লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বিক্রি করছে। গত মে মাসে হুয়াওয়ের ওপর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং প্রতিষ্ঠানটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ। হুয়াওয়ের পণ্যে নিরাপত্তাঝুঁকি থাকার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও সেমিকন্ডাক্টর পণ্য ক্রয় বন্ধ হয়ে যায় হুয়াওয়ের।