ডিএসইতে লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
পুঁজিবাজারে গত সপ্তাহে লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসে প্রকৌশল খাত। এ খাতে লেনদেন হয় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোট লেনদেনের ১৪ শতাংশ। ১৫ শতাংশ লেনদেন হয়ে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। প্রকৌশল খাতে লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করে নতুন তালিকাভুক্ত কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজ। এরপরে ছিল মুন্নু জুট স্টাফলার্স ও রানার অটোমোবাইল। লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। প্রকৌশল খাতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসা কপারটেক ইন্ডাস্ট্রিজের গড়ে প্রতিদিন ১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা লেনদেন হয়। এদিকে গত সপ্তাহের শেষদিনে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর অপরিবর্তিত ছিল। সর্বশেষ ৩৯ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৩৯ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৪ লাখ ৫৭ হাজার ৭৫৮টি শেয়ার দুই হাজার ৮১২ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ৫৮ লাখ ৬১ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ৮০ পয়সায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর ৪৬ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৩০ টাকায় ওঠানামা করে। কোম্পানিটি মাত্র তিনদিন লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিটির ৭০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৬০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ আট কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। এর মোট ছয় কোটি শেয়ার রয়েছে। ডিএসই থেকে প্রাপ্ত সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩০ দশমিক শূন্য সাত শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৪৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ শেয়ার। লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল মুন্নু জুট স্টাফলার্স। গড়ে প্রতিদিন কোম্পানিটির আট কোটি ২৭ লাখ টাকা লেনদেন হয়। এদিকে গত সপ্তাহের শেষদিনে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ১৬ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ এক হাজার ২৫০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল এক হাজার ২৪৯ টাকা ৩০ পয়সা। দিনজুড়ে ৪১ হাজার ৪৬৭টি শেয়ার দুই হাজার ৬৯৫ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর পাঁচ কোটি ১৯ লাখ ২২ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন এক হাজার ২২০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ২৯০ টাকায় হাতবদল হয়। এক বছরে শেয়ারদর পাঁচ হাজার ৬৩৪ টাকা ২০ পয়সা থেকে ৬৪১ টাকা ১০ পয়সায় ওঠানামা করে। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ৩৫০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে আট টাকা ৭৪ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫৩ টাকা ৩০ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ৫৭ পয়সা ও ৫২ টাকা ২৫ পয়সা। ২০১৮ সালে মোট মুনাফা করে ৪০ লাখ ২০ হাজার টাকা। অথচ এ কোম্পানির শেয়ারের এত উচ্চমূল্যে নিয়ে প্রায়ই নানা ধরনের গুজব শোনা যায়। এর আগে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।