এপিজির বার্ষিক সাধারণ সভা আজ

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
এশিয়া প্যাসিফিক গ্রম্নপ অন মানিলন্ডারিং (এপিজি)-এর ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় আজ অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হচ্ছে। ৬ দিনব্যাপী এই সভা শেষ হবে ২৩ তারিখ। বাংলাদেশ এই সভায় কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এই সভায় বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকা বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে কয়েকটির উন্নতির স্বীকৃতি পাওয়ার কথা রয়েছে। ঝুঁকি বাস্তবায়ন অগ্রগতিও সম্মেলনে পর্যালোচনা করা হবে। এপিজি'র ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় চীন, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, চাইনিজ তাইপের পাশাপাশি সলোমন ল্যান্ড-এর উপর প্রণীত মিউচুয়্যাল ইভ্যালুয়েশন প্রতিবেদন আলোচনা করা হবে। উলেস্নখ্য, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে সরকার এবং বিএফআইইউ কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপের ফলে ৫টি সুপারিশের ক্ষেত্রে প্রদত্ত রেটিং উন্নীত হওয়ার অবকাশ রয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে, এপিজি'ও বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহাঃ রাজী হাসানের নেতৃত্বে বড় একটি প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেছে। অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ১১টি মানদন্ড রয়েছে। এটি বিবেচনায় কোনো দেশ জঙ্গি, সন্ত্রাসী অর্থায়ন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ করতে না পারলে প্রথমে ওই দেশকে এপিজি ধূসর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে। এরপরও পরিস্থিতি উন্নতি না হলে ওই দেশকে কালো তালিকায় নেয়া হয়। সাধারণত প্রতি ৩ বছর অন্তর একটি দেশের ওপর এ মূল্যায়ন করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মূল্যায়ন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় এপিজির প্রতিনিধি দলটি আসছে। ২০১৬ সালে এপিজি মূল্যায়ন করেছিল- বিদেশে অর্থ পাচার বন্ধ ও দেশের ভেতর সন্ত্রাসে অর্থায়ন তিরোধে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে শুধু প্রযুক্তিগত উদ্যোগে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। টাকা পাচার প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপের সূচক প্রত্যাশা অনুযায়ী পূরণ হয়নি। ওই সময় তিন ভাগে ৪০ শ্রেণিতে অর্থ পাচার প্রতিরোধ ও সন্ত্রাসে অর্থায়নের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ মূল্যায়ন করে এপিজি। প্রযুক্তিগত পদক্ষেপে (প্রথম ভাগ) ৫ শ্রেণিতে পর্যালোচনা করে সন্তোষজনক রেটিং দেয় সংস্থাটি। দ্বিতীয় ভাগে দেখা হয় জঙ্গি ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধে 'দ্রম্নত পদক্ষেপে'র বিষয়। এক্ষেত্রে ১১টি শ্রেণির ৫টিতে নিম্নমানের রেটিং, ১টি ভালো ও বাকি ৫টি মধ্যমানের রেটিং দেয়া হয়। তবে সার্বিক মূল্যায়নে বলা হয়, অবস্থা ভালো হয়নি। সর্বশেষ ২১ শ্রেণিতে সফলতা নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। এ পর্যায়ে রেটিং দেয়া হয় মাঝামাঝি। সার্বিক পর্যালোচনা শেষে এপিজির খসড়া মূল্যায়ন প্রতিবেদন মন্তব্যে বলা হয়, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ।