পুঁজিবাজারে দরপতন :প্রতিবেদন জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি

প্রকাশ | ২১ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট গত জুলাই মাসে পুঁজিবাজারে যে 'অস্বাভাবিক দরপতন' হয়েছিল, তার কারণ অনুসন্ধানে গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গত ১৮ আগস্ট কমিটি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেনের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয়। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গত ১৩ জুন জাতীয় সংসদে চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর থেকে পুঁজিবাজারে টানা দর পতন চলতে থাকে। জুলাই মাসে এই পতন তীব্র হয়ে উঠে। দৃশ্যমান কোনো কারণ বা বড় কোনো নেতিবাচক ঘটনা না থাকা সত্ত্বেও এমন বড় দর পতন স্বাভাবিক ছিল না বলে মনে করে বিএসইসি। এর প্রেক্ষিতে ওই পতনের কারণ অনুসন্ধানের জন্য গত ২১ জুলাই ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। গত ১৮ আগস্ট সেই অনুসন্ধান-প্রতিবেদনই বিএসইসিরে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দিয়েছে তদন্ত কমিটি। জানা গেছে, কমিটি পুঁজিবাজারে অস্বাভাবিক পতনের কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছে। পেয়েছে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততা। তবে কমিটির কোনো সদস্য এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির একজন সদস্য বলেন, তাদের দায়িত্ব ছিল ঘটনার কারণগুলো খুঁজে বের করা, কারো সংশ্লিষ্টতা থাকলে সেগুলো চিহ্নিত করা। তারা সেগুলো করেছেন। এখন কমিশন পর্যালোচনা করে দেখবে তা কতটা যথাযথ। এরপর হয়তো কমিশন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। তখন কমিশন দোষীদের নাম ও তাদের অপরাধের বিষয়টি প্রকাশ করতে পারে। এ বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার তাদের নেই। বিএসইসির পরবর্তী কমিশন বৈঠকে তদন্ত প্রতিবেদনটি নিয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে। উলেস্নখ্য, বিএসইসি অস্বাভাবিক পতনের কারণ অনুসন্ধানের জন্য ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। গত ২১ জুলাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এই কমিটি গঠন করেছিল বিএসইসি। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- বিএসইসির পরিচালক রেজাউল করিম, উপপরিচালক মো. অহিদুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম ও মো. রাকিবুর রহমান। এরমধ্যে রেজাউল করিম কমিটির আহ্বায়ক ও বাকিরা সদস্য। এবং তারা প্রয়োজন মনে করলে কমিটিতে নতুন সদস্য যোগ করারও অনুমতি ছিল। কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। এর আগে গত কয়েক মাস ধরে পুঁজিবাজারে টানা পতন অব্যাহত রয়েছে। এ পতনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই আড়াই বছরের সর্বনিম্ন অবস্থানে নেমে আসে। আলোচ্য সময়ের মধ্যে বিএসইসি অনেক কার্যকরি সংস্কার করেছে তারপরেও পুঁজিবাজারে পতন কমছিল না।