সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী

কৃষির আধুনিকায়নে যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
দেশের মানুষের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে কৃষি পণ্য উৎপাদন এবং রপ্তানিতে কৃষিখাতের আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। এজন্য প্রধানমন্ত্রী এ খাতে বিশেষ বরাদ্দের প্রতিশ্রম্নতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিসের কনফারেন্স রুমে বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার স্বর্ণপদক প্রাপ্তদের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারের কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর নির্বাচনী ইশতেহারের ৫টি সেক্টরের বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। এসব অঙ্গীকারের মধ্যে খাদ্য দ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমিয়ে আনা এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা ছিল প্রধান। ইতোমধ্যে সেসব লক্ষ্যে সরকারের সাফল্য অর্জিত হয়েছে। গত বছর দানা জাতীয় খাদ্য ধান, গম ও ভুট্টা উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৪ কোটি ১৩ লাখ টন। ফলে কৃষি জাতীয় খাদ্যের উৎপাদন বেড়েছে। এখন পুষ্টি জাতীয় উচ্চ-মূল্যের খাদ্যের দাম কমানোর নিশ্চয়তা দেয়ার উদ্যোগকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের মানুষের জন্য পুষ্টি জাতীয় ও নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও কৃষিপণ্য রপ্তানিতে কৃষির আধুনিকীকরণ, যান্ত্রিকীকরণ ও বাণিজ্যকরণে গুরুত্ব দেয়া হবে। কারণ এখনো কৃষি পণ্যের বাণিজ্যকরণের চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। ফলে প্রধানমন্ত্রী নিজে কৃষির আধুনিকায়নে যান্ত্রিকীকরণ বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য তিনি বিশেষ অর্থ বরাদ্দ দেয়ার কথা বলেছেন। এ বছর কৃষি পণ্যের রপ্তানি আয় হয়েছে ৩৪ শতাংশ। পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য রপ্তানিতে রাজধানীর পূর্বাচলে একটি আধুনিক ফুড আক্রেডিটেশন ল্যাবরেটরি স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়া ভারতের সহযোগিতায় ভার্মি কমপোস্ট সার তৈরি, পাবর্ত্য এলাকায় কফি ও ক্যাসিওনেড উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলে কৃষকদের মধ্যে আমের চারা বিতরণের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে খামারবাড়িতে কৃষি তথ্য সার্ভিস আধুনিকায়ন ও ডিজিটাল কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ শক্তিশালীকরণে কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রেস ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন ও কৃষি যোগাযোগ ও তথ্য সেবাকেন্দ্র উদ্বোধন করা হলো। উলেস্নখ্য অনুষ্ঠানে ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করে ২০১৯ সাল পর্যন্ত কৃষিখাতে অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত ৪৯ জন কৃষকের হাতে সংবর্ধনা ক্রেস্ট তুলে দেন মন্ত্রী।