চামড়ার বকেয়া পরিশোধ তিন ধাপে

প্রকাশ | ২৩ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
চামড়া নিয়ে চলমান সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে ট্যানারি মালিকরা তিন ধাপে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ীদের বকেয়া টাকা পরিশোধে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআইয়ের সম্মেলন কক্ষে কাঁচা চামড়ার ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান এফবিসিসিআই সভাপতি ফজলে ফাহিম। তিনি বলেন, চামড়ার যে এরিয়ার বকেয়া আছে কীভাবে সমাধান করা যায়, তা নির্ধারণে আজকের এ বৈঠক। এরিয়ার এসব সমস্যা সমাধানে সবাই একমত, আমরা দ্রম্নত সমাধানের দিকে এগোচ্ছি। তিনি আরও বলেন, তিনটি স্স্নাবে (ধাপ) বকেয়া পরিশোধে কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী ও ট্যানারি মালিকরা একমত হয়েছেন। আগামী শনিবার বৈঠকে বসে তারা ঠিক করবেন কোন কোন কোম্পানির কাছে কী পরিমাণ এরিয়ার আছে, এরপর সমস্যা সমাধানে আগামী বৃহস্পতিবার আবার বৈঠকে বসবেন। এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, চামড়ার একটি নীতিমালার বিষয় আলোচনায় উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের জানানো হয়েছে চামড়ার একটি নীতিমালা করা হচ্ছে। আগামী কেবিনেট (মন্ত্রিপরিষদ) বৈঠকে নীতিমালা উপস্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, ঈদের সময় একটা বিষয় উঠে এসেছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে কাঁচা চামড়া কবর দেওয়া হচ্ছে। এ সমস্যা দেশব্যাপী সমস্যা নয়, দুই-এক জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে এ ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনা ঘটুক তা আমরা কেউ চাই না। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাঁচা চামড়া আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএইচএসএমএ) সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের সন্তুষ্টির বিষয়টি ৩১ তারিখ পর্যন্ত তুলে রাখলাম। 'আমাদের বকেয়াটা একদিনের নয়। ১৯৯০ সাল থেকে এ বকেয়া জমা রয়েছে। তিন ধাপে বকেয়া পরিশোধের কথা বলা হচ্ছে। এরমধ্যে ১৯৯০ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত এক ধাপ। বাকি দুটি ধাপ ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল এবং ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল। এর মধ্যে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমরা পুরো টাকা পরিশোধের দাবি জানিয়েছি।' আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঈদের আগে ৬ আগস্ট বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চামড়ার দাম নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল ঈদের আগের শেষ কার্যদিবসে আমাদের বকেয়া পরিশোধ করবে। সেখান থেকেই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।