এশিয়ার দেশগুলোয় ঊধ্বর্মুখী চালের দাম

প্রকাশ | ০৫ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম চাল রপ্তানিকারক ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। চলতি সপ্তাহে ভারত ও থাইল্যান্ডের বাজারে রপ্তানিযোগ্য চালের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। মূলত বাড়তি চাহিদা ও বৈরী আবহাওয়ার জের ধরে উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থেকে দেশ দুটিতে খাদ্যপণ্যটির দামে চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে। তবে এ সময় ভিয়েতনামে খাদ্যপণ্যটির দাম আগের তুলনায় কমেছে। খবর বিজনেস রেকডার্র। ভারত বিশ্বের শীষর্ চাল রপ্তানিকারক দেশ। চলতি সপ্তাহে দেশটির বাজারে রপ্তানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল টনপ্রতি ৩৯২-৩৯৬ ডলারে বিক্রি হয়, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ ডলার বেশি। গত মাসের শুরুতে দেশটির বাজারে রপ্তানিযোগ্য চালের দাম চলতি বছরের এপ্রিলের পর সবির্নম্ন অবস্থানে নেমে এসেছিল। তবে মাসের শেষ দিকে এসে ভারতের বাজারে খাদ্যপণ্যটির দাম বাড়তে শুরু করে। অন্ধ্রপ্রদেশের একজন রপ্তানিকারক জানান, এখন বষার্কাল চলছে। তবে ভারতের বিভিন্ন চাল উৎপাদনকারী অঞ্চলে প্রয়োজনের তুলনায় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। এর জের ধরে খাদ্যপণ্যটির উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কায় দাম বাড়তে শুরু করেছে। চাল উৎপাদনকারী দেশগুলোয় বৈশ্বিক তালিকায় থাইল্যান্ডের অবস্থান দ্বিতীয়। চলতি সপ্তাহে দেশটির বাজারে ফ্রি অন বোডর্ (এফওবি) চুক্তিতে প্রতি টন রপ্তানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম দঁাড়িয়েছে ৩৮৫-৩৯৩ ডলারে। আগের সপ্তাহেও দেশটিতে খাদ্যপণ্যটি টনপ্রতি ৩৮০-৩৮৫ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। সেই হিসাবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে থাইল্যান্ডে রপ্তানিযোগ্য চালের দাম টনে সবোর্চ্চ ৮ ডলার বেড়েছে। স্থানীয় রপ্তানিকারকরা জানান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার বাজারে থাই চালের বাড়তি চাহিদা রয়েছে। এ কারণে থাইল্যান্ডে চালের বাজার চাঙ্গা হতে শুরু করেছে। ভারত ও থাইল্যান্ডে বাড়লেও ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে বিশ্বের তৃতীয় শীষর্ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভিয়েতনামের বাজারে। চলতি সপ্তাহে দেশটিতে রপ্তানিযোগ্য ৫ শতাংশ ভাঙা চাল বিক্রি হয় টনপ্রতি ৩৮৫-৩৯৫ ডলারে। আগের সপ্তাহে খাদ্যপণ্যটি টনপ্রতি ৩৯০-৩৯৫ ডলারে বিক্রি হয়েছিল। রপ্তানি চাহিদা কমে আসায় দেশটিতে খাদ্যপণ্যটির দাম আগের তুলনায় সামান্য কমেছে।