সিএসইর কমিশন বার্ষিক ভিত্তিতে

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

হাসান আরিফ
লেনদেনের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) স্টেকহোল্ডারদের কাছ থেকে আর কমিশন নেয়া হবে না। তাদেরকে সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা ও সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা হারে বার্ষিক কমিশন দিতে হবে। সিএসইর এ সিদ্ধান্তে স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। যদিও সিএসইর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, স্টেকহোল্ডারদের লেনদেনে আগ্রহী করতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সিএসই সূত্র বলছে, বর্তমানে সিএসইর ১৪৮টি স্টেকহোল্ডার আছে। এর মধ্যে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫টি স্টেকহোল্ডার সক্রিয়ভাবে লেনদেন করছে। বাকি সবগুলোই নিষ্ক্রিয়। এদের বেশির ভাগই চট্টগ্রাম অঞ্চলের স্টেকহোল্ডার। অনেক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান ডিএসইর স্টেকহোল্ডার, আবার সিএসই'রও স্টেকহোল্ডার। তাদের অনেকেই সিএসইতে লেনদেন করতে মনোযোগী নয়। অথচ নিষ্ক্রিয়রা বছর শেষে স্টক এক্সচেঞ্জের লভ্যাংশ নিচ্ছে সমান হারে। জানা যায়, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সিএসইতে লেনদেনে আগ্রহ কম। বিশেষ করে ঢাকার হাউজগুলোতে সিএসইর লেনদেনে বিনিয়োগকারী খুবই কম। বর্তমানে সিএসই'তে প্রতিদিন গড়ে ৩০ কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসই'র ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম ফারুক বলেন, যারা কম লেনদেন করে এমন স্টেকহোল্ডারদের সক্রিয় করার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আর যারা ভালো লেনদেন করে তাদের আরও উৎসাহিত করার জন্যই নতুন এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এতে করে ব্রোকারেজ হাউজগুলো বেশি লেনদেনে মনোযোগী হবে। এদিকে নানা চেষ্টা করেও লেনদেন বাড়াতে না পারায় সিএসইর স্টেকহোল্ডারদের বার্ষিক কমিশন সর্বনিম্ন ৫ লাখ টাকা ও সর্বোচ্চ ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে সিএসই। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকেই নতুন এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সিএসইর পরিচালনা পরিষদ লেনদেনের ভিত্তিতে কমিশন নেয়ার পরিবর্তে নির্ধারিত হারে কমিশন নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ গত অর্থবছর পর্যন্ত লেনদেনের ভিত্তিতে কমিশন আদায় করা হতো। এদিকে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এখনো লেনদেনের ভিত্তিতে ওপর কমিশন আদায় করছে। অন্যদিকে সিএসই সদস্যদের নির্ধারিত হারে কমিশন দিতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সিএসইর ছোট ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে অসন্তোষ বিরাজ করছে। স্টেকহোল্ডাররা বলছেন, লেনদেনের ওপর কমিশন ধার্য না করে নির্দিষ্ট সীমা বেঁধে দেয়া অযৌক্তিক। কেউ যদি লেনদেন না করতে পারে, সেক্ষেত্রেও তাকে বছরে ৫ লাখ টাকা কমিশন দিতে হবে। এ নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) হস্তক্ষেপ চান তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএসইর সাবেক সভাপতি ফখরুদ্দিন আলী আহমেদ বলেন, তাদের সর্বোচ্চ ফি ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা বেশি লেনদেন করলেও ১২ লাখের বেশি দিতে হচ্ছে না। এতে অনেকে আরও বেশি লেনদেন করার চিন্তা করবে। আর যারা নিষ্ক্রিয় তারাও চেষ্টা করবে যেন কমিশন চার্জ উঠাতে পারে। ফলে বিষয়টিকে ইতিবাচক ভাবেই দেখা উচিত।