এডিআরে ১৬ মামলায় ১৪২ কোটি টাকা আয়

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট এডিআর হচ্ছে আদালতের বাইরে গিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও করদাতাদের মধ্যে বিদ্যমান মামলা নিষ্পত্তির একটি পদ্ধতি। স্বল্প সময়ের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার কারণে এডিআর দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। বিগত ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) মাধ্যমে ১৬টি মামলা নিষ্পত্তি করে ১৪২ কোটি ১২ লাখ টাকার রাজস্ব আহরণ করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীন মূল্য সংযোজন করের (ভ্যাট) বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ)এর আগের ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এলটিইউ ৮টি মামলা নিষ্পত্তি করে মাত্র ৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকার রাজস্ব আয় করেছিল। এডিআর পদ্ধতিতে একজন নিরপেক্ষ ফ্যাসিলেটেটর (মধ্যস্থতাকারী) দু'পক্ষের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে রায় দেন। উভয়পক্ষ এ রায় মানলে বিরোধটি নিষ্পত্তি হয়। আর কোনো এক পক্ষের আপত্তি থাকলে তারা বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। এ পদ্ধতির সুফল হচ্ছে স্বল্প সময়ে মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি। কিন্তু আদালতের মাধ্যমে কোনো মামলা নিষ্পত্তি করতে দীর্ঘ সময়ের প্রয়োজন হয়। এ বিষয়ে ভ্যাট এলটিইউ কমিশনার মুহাম্মদ মুবিনুল কবীর বলেন, বিদায়ী ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দ্রম্নত মামলা নিস্পত্তির জন্য এডিআরে ১৬টি আবেদন দাখিল করা হয়। ভ্যাট এলটিইউ এবং করদাতা দু'পক্ষের সম্মতিতে এর সব ক'টি মামলা নিস্পত্তি হয়। নিষ্পত্তি হওয়া এই ১৬ মামলা থেকে ১৪২ কোটি ১২ লাখ টাকার আয় এসেছে। তিনি বলেন, আদালতের বাইরে গিয়ে দ্রম্নত মামলা নিষ্পত্তির জন্য আমরা এডিআরে আবেদন করি। এর সুফলও পেয়েছি। স্বল্পতম সময়ের ব্যবধানের সবগুলো মামলা নিস্পত্তির মাধ্যমে প্রত্যাশিত রাজস্বও এসেছে। এনবিআরের সদস্য (লিগ্যাল এন্ড এনফোর্সমেন্ট) হাফিজ আহমেদ মুর্শেদ জানান, মামলাজট কমাতে ২০১২ সালে আদালতের বাইরে সালিশি পদ্ধতিতে রাজস্ব মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে এডিআর ব্যবস্থা চালু করে এনবিআর।