লাইসেন্স বাতিলের নোটিশ অযৌক্তিক, দাবি গ্রামীণের

প্রকাশ | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট পাওনা বকেয়া পরিশোধে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোনকে বিটিআরসি'র দেয়া কারণ দর্শানো নোটিশ অযৌক্তিক বলে দাবি করেছে গ্রামীণফোন। রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশ করেছে গ্রামীণফোন। বলা হয়েছে, বকেয়া টাকা আদায়ে টু-জি ও থ্রি-জি লাইসেন্স বাতিলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই অযৌক্তিক দাবির বিরদ্ধে কোম্পানিটির ম্যানেজমেন্ট (ব্যবস্থাপনা পর্ষদ) কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। গ্রামীণফোন ডিএসইকে জানিয়েছে, বিটিআরসির ৮ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ৪ হাজার ৮৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকাসহ মোট ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা চলতি বছরের ৪ এপ্রিল গ্রামীণফোনের কাছে দাবি করে বিটিআরসি। এ বিষয়ে বিটিআরসি থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর একটি কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এতে গ্রামীণফোনের টু জি এবং থ্রি জি লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, সে বিষয়ে ৩০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। বিটিআরসির এই কারণ দর্শানোর নোটিশের প্রেক্ষিতে গ্রামীণফোন বলছে, কোম্পানি, শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) অন্যায্য পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ম্যানেজমেন্ট কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। তবে বিটিআরসির পদক্ষেপর বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলেনি গ্রামীণফোন। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে থেকে বলা হয়েছে, সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যায় তা ঠিক করা হবে। এদিকে পাওনা দাবি নিয়ে বিটিআরসি ও গ্রামীণফোনের মধ্যকার দ্বন্দ্বের ফলে পুঁজিবাজারে মোবাইল অপারেটর কোম্পানির শেয়ারের দামে ব্যাপক দরপতন হয়েছে। এতে কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডারা গত পাঁচ মাসে প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা হরিয়েছেন। বিটিআরসি যে দিন গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা দাবি করে চিঠি দেয় তার আগের কার্যদিবসে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ছিল ৪১৭ টাকা। বিটিআরসি থেকে পাওয়া দাবি করার দিন থেকেই গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম কমতে থাকে। অব্যাহত দরপতনের কারণে রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) লেনদেন শেষে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৯৯ টাকায়। এ হিসাবে প্রতিটি শেয়ারের দাম কমেছে ১১৮ টাকা। গ্রামীণফোনের মোট শেয়ার সংখ্যা ১৩৫ কোটি ৩ লাখ ২২টি। অর্থাৎ অব্যাহত দরপতনে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম সম্মিলিতভাবে কমেছে ১৫ হাজার ৯৩৩ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার ৫৯৬ টাকা।