অক্টোবরে নতুন ভবনে যাচ্ছে ডিএসই

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ডিএসইর নতুন ভবন - ফাইল ছবি
যাযাদি রিপোর্ট দেশের প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) অবশেষে নিজস্ব ভবনে যাচ্ছে। নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার ১২ বছর পর নিকুঞ্জের নতুন ভবনটিতে ডিএসই তাদের কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। আগামী অক্টোবর মাসে নতুন ভবনে তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। সূত্র মতে, ডিএসই তাদের নতুন ভবনে আগমী ৩১ অক্টোবর যাওয়ার বিষয়ে একটি ৬ সদ্যসের কমিটি গঠন করেছে। কমিটি নতুন ভবনে যাওয়ার বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরি করবে এবং তা বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করবে। ডিএসইর এক কর্মকর্তা জানান, আগামী অক্টোবর মাসের ৩১ তারিখ ডিএসইর অফিস কার্যক্রম নিকুঞ্জ ভবনে স্থানান্তর করা হবে। তবে নতুন ভবনে এখনও কিছু কাজ বাকি আছে। যার কারণে মেম্বারদের কার্যক্রম স্থানান্তরের বিষয়টি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। সূত্র মতে, রাজধানীর খিলক্ষেত-নিকুঞ্জ এলাকায় ডিএসইর নিজস্ব জমিতে ১৩ তলা ভবন তৈরি হয়েছে। এর আগে ১৯৯৬ সালে সরকারের থেকে চার কোটি টাকায় রাজধানীর খিলক্ষেত-নিকুঞ্জ এলাকায় (বিমানবন্দর সড়কের পাশে) চার বিঘা জমি বরাদ্দ পায় ডিএসই। ডিএসইর ২০১১-২০১২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বহুতল ভবনটির সম্ভাব্য নির্মাণ ব্যয় ধরা ছিল ১৩২ কোটি টাকার বেশি। নকশা অনুযায়ী, ভবনের আয়তন সাত লাখ ৪১ হাজার ১০৯ বর্গফুট। ভূগর্ভস্থ তিনতলা কার পার্কিংয়ের স্থান বাদে মূল ভবন হবে ১৩ তলা। এর প্রথম দুই তলায় থাকবে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সাব-স্টেশন, লবি, মিডিয়া সেন্টারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। চতুর্থ তলা ডিএসইর অফিসের জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। পঞ্চম তলা থেকে ১১ তলায় ব্রোকারেজ হাউস ও শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থাকবে। অডিটরিয়ামের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১২ তলার কিছু অংশ ও ১৩ তলা। ভবনে ওঠা-নামায় যাত্রীবাহী লিফটের সঙ্গে থাকবে একটি কার্গো লিফট। ২০০৭ সালের ২৪ ফেব্রম্নয়ারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ। ওই বছর ২৮ মার্চ ডিএসইর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট শাকিল রিজভী আনুষ্ঠানিকভাবে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন। ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রম্নয়ারি ডিএসইর ভবন নির্মাণ, স্থাপত্য ও প্রকৌশল কাজের জন্য জিবিবি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১০ সালের ৩১ মার্চে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ের মধ্যে মোট কাজের ২৪ দশমিক ১৭ শতাংশ শেষ হয়। নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষে ব্যর্থ হওয়ায় আদালতের নির্দেশে ২০১০ সালের ১৫ জুলাই জিবিবি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ডিএসই। এরপর ভবন নির্মাণ কমিটি পুনঃদরপত্র আহ্বান করে। আটটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। এর মধ্যে খুশলি নির্মাতা লিমিটেড, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং (এনডিই) ও রেজা কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর এনডিইকে কাজ দেয়া হয়। নিকুঞ্জে এই নতুন ভবনের অফিস স্পেস ডিএসইর পরিষদ ছাড়াও আড়াইশ সদস্যের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। লটারির মাধ্যমে এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আর এই স্পেস এর জন্য ডিএসইকে নির্ধারিত হারে ভাড়া দিতে হবে প্রত্যেক সদস্যকে। ডিএসইর ২০১৩-১৪ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে নিকুঞ্জ টাওয়ারকে স্থায়ী সম্পদ হিসেবে দাম দেখানো হয়েছে ৬৭২ কোটি টাকা। নিকুঞ্জ ভবনসহ অন্যান্য স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদ মিলিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জটির প্রাতিষ্ঠানিক মূল্য দেখানো হয় প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা।