অনিশ্চয়তা বেড়েছে ভারতের রপ্তানি খাতে

প্রকাশ | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
হঠাৎ করেই কমেছে ভারতের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি। এতে ধাক্কা খেয়েছে দেশটির অর্থনীতি। খবর আনন্দবাজারের। চাহিদার অভাবে ভারতের অর্থনীতি যখন কাহিল, তখন খাঁড়ার ঘা রপ্তানি শিল্পেও। শুক্রবার সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, অগস্টে ভারতের রপ্তানি কমেছে ৬.০৫%। দাঁড়িয়েছে ২,৬১৩ কোটি ডলারে। তবে আমদানিও ১৩.৪৫% কমে ৩,৯৫৮ কোটিতে নামায় বেশ খানিকটা কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি। ওই সময়ে তা দাঁড়িয়েছে ১,৩৪৫ কোটি ডলারে। তার পরেই সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির তোপ, যে গতিতে রপ্তানি ও আমদানি কমেছে, তাতে স্পষ্ট আর্থিক কর্মকান্ড সঙ্কুচিত হচ্ছে। তার কটাক্ষ, 'অর্থনীতি গভীর সংকটে। এতে মাধ্যাকর্ষণ ও নতুন প্রজন্মের কিচ্ছু করার নেই।' ধাক্কা যেখানে: কফি, চাল, ফল, আনাজ, মাংস ও দুগ্ধজাত পণ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং ও বৈদু্যতিন পণ্য, পেট্রোপণ্য, হস্তশিল্প, চর্মপণ্য প্রভৃতি। কারণ: চীন-মার্কিন শুল্কযুদ্ধ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে রক্ষণশীল নীতি। রপ্তানিকারী সংস্থাগুলোর সংগঠন ফিয়োর প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার শরাফের দাবি, এটা অনিশ্চয়তা, বিশ্ব বাজারে ঝিমিয়ে থাকা চাহিদা ও শুল্ক যুদ্ধের প্রতিফলন। সহজে ও কম খরচে ঋণের সুবিধা, কৃষি রপ্তানিতে সাহায্য, বিদেশি পর্যটকদের পণ্য বিক্রিতে সুযোগ, জিএসটিতে আগে মেটানো করের টাকা দ্রম্নত ফেরতের মতো ক্ষেত্রে নজর দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। আশঙ্কা প্রকাশ করে কাঁচামালের খরচ কমানোর কথা বলেছেন ইইপিসি ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান রবি সেহগলও। সরকারি হিসেবও বলছে, শুল্কযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে আমেরিকার মতো দেশের রক্ষণশীলতা আঁকড়ে দেয়াল তোলার চেষ্টাই এর জন্য দায়ী। যদিও শুধু ভারত নয়, শুল্কযুদ্ধের জেরে যে গোটা বিশ্ব বাণিজ্যই হোঁচট খাচ্ছে, তা পরিষ্কার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের রিপোর্টে।