রপ্তানিতে ধাক্কার পর একাধিক প্রণোদনা ভারতের

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের লক্ষ্য পাঁচ বছরের মধ্যে অর্থনীতিকে পাঁচ লাখ কোটি ডলারে নিয়ে যাওয়া। আর এক্ষেত্রে অন্যতম হাতিয়ার হলো রপ্তানি। কিন্তু টানা দ্বিতীয় প্রান্তিকে কমেছে ভারতের রপ্তানি। এছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও চলছে শ্লথগতি। এ পরিস্থিতিতে প্রবৃদ্ধিকে চাঙা করতে এবং রপ্তানিকারদের আরও উৎসাহ দিতে একাধিক প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গত শনিবার রপ্তানিকারকদের জন্য পণ্য ও পরিষেবা কর আরও সরলীকরণ করা এবং ব্যাংক ঋণের ক্ষেত্রে আরও বিমাসহ একাধিক প্রণোদনা ঘোষণা করেন তিনি। খবর : এনডিটিভি ও আনন্দবাজার। অর্থমন্ত্রী বলেন, 'আরও কম সময়ে রপ্তানির জন্য বর্তমান পদক্ষেপগুলো সময়মতো কার্যকর করতে ব্যাপকভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।' দেশের রপ্তানিকে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে নিয়ে যেতে চায় সরকার; এ লক্ষ্যেই এ প্রণোদনা ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত মাসে দেশের রপ্তানি আয় ছিল ২৬ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এটি ছয় দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ কম। দেশটির বাণিজ্যিক ঘাটতি কমে আগস্টে হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এক বছর আগের একই সময় এ পরিমাণ ছিল ১৭ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার। গত মাসে আমদানি ১৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ কমে হয়েছে ৩৯.৫৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেন, মার্চেন্ডাইজ এক্সপোর্ট ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিমের বদলে রপ্তানি করা পণ্যের ওপর রিমিশন অব ডিউটিস বা ট্যাক্স প্রকল্প চালু করা হবে। বর্তমানে থাকা রপ্তানির ওপর এক্সপোর্ট ক্রেডিট ইন্সু্যরেন্স স্কিমকে আরও বর্ধিত করে রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের ওপর পণ্যের বিমার পরিমাণ বর্ধিত করা হবে এবং কুটির, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে আধুনিকীকরণ করা হবে। অর্থমন্ত্রী জানান, বস্ত্রশিল্প আগে যে মার্চেন্ডাইজ এক্সপোর্ট ইন্ডিয়া স্কিমের আওতায় দুই শতাংশ পর্যন্ত ইনসেনটিভ পেত, সেটি ১ জানুয়ারি থেকে নতুন প্রকল্পের আওতায় চলে যাবে। বর্তমানে চালু থাকা সব প্রকল্প থেকে নতুন প্রকল্প রপ্তানিকারকদের আরও অনেক বেশি সুবিধা দেবে। তিনি জানান, 'পুরোপুরি ইলেকট্রনিক রিফান্ড মডিউল চালু করা হবে সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে; এর ফলে পণ্য ও পরিষেবা করের আওতায় দ্রম্নত এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনপুট ট্যাক্স ফেরত দেয়া যাবে। এসব সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েই সুদিন ফেরার আশা করছে ভারতের রপ্তানি শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, শুধু স্বল্প মেয়াদেই নয়, বিশ্ব বাণিজ্য নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে এ ঘোষণা দীর্ঘ মেয়াদেও সুরাহা দেবে।