মার্কিন কৃষিপণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করবে চীন

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
কিছু মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহার করবে চীন। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ নিরসনে আলোচনা শুরু হওয়ার আগে এ খবরকে ইতিবাচক মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স। শূকরের মাংস, সয়াবিনসহ মার্কিন কৃষিপণ্যে গত বছরের জুলাইয়ে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করে চীন। গত সেপ্টেম্বরে তা আরও পাঁচ শতাংশ বাড়ানো হয়। অতিরিক্ত আরোপ করা এ পাঁচ শতাংশই প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। এর আগে চীনের ২৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্যে বিদ্যমান শুল্কহার বাড়ানোর যে ঘোষণা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছিল, আপতত সে পথে না হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট বার্তায় বলেছেন, আগামী ১ অক্টোবর থেকে পাঁচ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কারোপের যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তা দুই সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হলো। তিনি জানিয়েছেন, চীনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে শুল্ক কার্যকরের তারিখ পিছিয়ে দেয়া হলো। পাশাপাশি বাণিজ্য সংকট নিরসনে দু'দেশ আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি কাজ করছে। এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ব পুঁজিবাজারে। গতকাল শুক্রবার এশিয়ার পুঁজিবাজার সূচক ছয় সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। গত বছর থেকে বেইজিংয়ের রপ্তানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপ শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। 'মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন' আর 'আমেরিকা ফার্স্ট' নামের কথিত সংরক্ষণশীল নীতির ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতায় আসা ট্রাম্প প্রশাসনের এ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে বেইজিংও মার্কিন পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্কারোপ শুরু করে। বাণিজ্য নিয়ে উত্তেজনা কমাতে এ বছর ওয়াশিংটন ও বেইজিং কয়েক দফা বৈঠকও করেছে। এরই মধ্যে গত মাসে নতুন করে আরও ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যে শুল্কারোপ বাড়ানোর ঘোষণা দেন ট্রাম্প। সম্প্রতি ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, ৩০০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যে 'স্বল্প সময়ের' জন্য এ ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করা হয়েছে। ধাপে ধাপে বেড়ে এটি ২৫ শতাংশও ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে হুশিয়ারি দেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, 'চীনের সঙ্গে এমনটা করা অনেক আগেই কারও উচিত ছিল।' যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে এক বছরেরও আগে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এ প্রথম মার্কিন তেলের ওপর শুল্কারোপ করেছে চীন। এছাড়া দুপক্ষই চলতি বছরের শেষের দিকে পরস্পরের পণ্যের ওপর আরও বাড়তি শুল্কারোপ করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র পিপলস ডেইলি বলেছিল, মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে এসব বাড়তি শুল্কারোপের কারণে চীনের উন্নয়ন থেমে থাকবে না।