ফিনিক্স ইন্সু্যরেন্সকে ৩০ দিনের মধ্যে বীমা দাবি পরিশোধের নির্দেশ

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতার পরও নানা অজুহাতে দোভাষ শিপিং লাইন্স-এর বীমার দাবি পরিশোধ করেনি ফিনিক্স ইন্সু্যরেন্স কোম্পানি। অথচ সাধারণ বীমা কর্পোরেশনও ফিনিক্স ইন্সু্যরেন্সের পুনঃবীমার দাবি সমম্বয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করেছে। এ অবস্থায় সার্বিক বিষয়াদি পর্যালোচনা করে ফিনিক্স ইন্সু্যরেন্সকে আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে সব দাবি পরিশোধ করার জন্য আদেশ দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি দাবি পরিশোধ করে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্যও বলা হয়েছে। এই ব্যত্যয় হলে বীমাকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে। এই সঙ্গে ফিনিক্স ইন্সু্যরেন্সের অভিযোগ খারিজ করে দেয়া হয়েছে। বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সভাপতি মো. শফিকুর রহমান পাটোয়ারী এ আদেশ দেন। জানা গেছে, অভিযোগকারীর অভিযোগ ও বক্তব্য, ফিনিক্স ইন্সু্যরেন্স কোম্পানির লিখিত আপত্তি ও বক্তব্য এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের বক্তব্য পর্যালোচনা করেছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ অভিযোগের উদ্বুদ্ধ ঘটনা, পারিপার্শ্বিকতা পর্যালোচনা করে দেখে যে, উভয় পক্ষের স্বীকৃতি মোতাবেক অভিযোগকারী ফিনিক্স ইন্সু্যরেন্স কাছ থেকে দোভাষ শিপিং মেরিন হাল পলিসি গ্রহণ করেন। গত ২০১৫ সালে দোভাষ শিপিং দুর্ঘটনায় পতিত হলে বীমার দাবি প্রাপ্তির সকল প্রকার আইনানুগ আনুষ্ঠানিকতা সম্পূর্ণ করে। এবং তা বীমাকারী কোম্পানির কাছে উপস্থাপন করে। ক্ষতি নিরূপনের জন্য বীমাকারী বাংলাদেশ লয়েডস এর এজেন্ট জেএফ (বাংলাদেশ) লিমিটেড নামক সার্ভেয়ার্সকে নিয়োগ দেয়। সার্ভেয়ার তার রির্পোটে ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা ক্ষতি নিরূপন করে। কিন্তু বীমাকারী ফিনিক্স ইন্সু্যরেন্স নিরুপিত ক্ষতির টাকা এখন পর্যন্ত পরিশোধিত করেনি। অথচ বীমা দাবিটি স্বীকৃত এবং বীমাগ্রহীতা সার্ভেয়ারের প্রদত্ত সার্ভে রির্পোট মোতাবেক ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকারী। এছাড়াও বর্তমানে বীমাগ্রহীতা কর্তৃক কাজ শেষে সাটিফিকেট দাখিলের বিষয়টি দাবি পূরণের ক্ষেত্রে অন্তরায় নয় বলেও বলা হয়েছে।