বিশ্ববাজারে তেলের দামে অস্থিরতা কমেছে

প্রকাশ | ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট চলতি মাসের শেষ নাগাদ তেলের উৎপাদন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে বলে জানিয়েছে সৌদি আরব। গত মঙ্গলবার দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমান এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তার এ বক্তব্যের পরই তেলের বাজারে অস্থিরতা কমে আসে। খবর: বিবিসি। গত শনিবার সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোর আবকায়িক ও খুরাইস স্থাপনায় ড্রোন হামলা হয়। হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। গত সোমবার বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ে। তবে গত মঙ্গলবার দাম কিছুটা কমে। এ দিন তেলের দাম ৭ শতাংশ কমে। হামলার পর সৌদির জ্বালানি মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, আরামকোর উৎপাদন আংশিকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে দেশটির তেল উৎপাদন অর্ধেকের বেশি কমে যায়। আরামকো এক বিবৃতিতে জানায়, হামলার কারণে সৌদি আরবের তেল উৎপাদনের পরিমাণ সাময়িক সময়ের জন্য দিনে ৫৭ লাখ ব্যারেল কমে গেছে, যা বিশ্ববাজারে তেল সরবরাহের প্রায় ৫ শতাংশ। গত সোমবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়ে ২০ শতাংশ, যা গত ৩০ বছরের মধ্যে এক দিনে সর্বোচ্চ দাম বৃদ্ধি। মঙ্গলবার সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ তেলের উৎপাদন স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। সৌদির জ্বালানিমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি সৌদি আরামকোকে ফিনিক্স পাখির সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, হামলার পর আরামকো ছাই থেকে ফিনিক্সের মতো জেগে উঠেছে। সৌদির এক কর্মকর্তা জানান, শেয়ারবাজারে আরামকোকে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনাটি বহাল রয়েছে। মঙ্গলবার লন্ডনের বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ৭ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৬৪ দশমিক ছয় ডলার হয়। আর নিউইয়র্কভিত্তিক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটে অপরিশোধিত তেলের দাম সাড়ে ৫ শতাংশ কমে ব্যারেলপ্রতি ৫৯ দশমিক পাঁচ ডলার হয়। ইরানের মদদপুষ্ট ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা আরামকোর দুইটি স্থাপনায় ড্রোন হামলার দায় স্বীকার করে। হুতি বিদ্রোহীদের ভাষ্য, হামলার জন্য তারা ১০টি ড্রোন ব্যবহার করেছে। হামলার ঘটনায় ইরানকে সরাসরি দোষারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের তরফে স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে হামলার নেপথ্যে ইরান জড়িত রয়েছে বলে দাবি করা হয়। ইরান অবশ্য যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে। ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত শিয়াপন্থি হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ২০১৫ সাল থেকে লড়াই করে আসছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। সোমবার রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই জোটের মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালিকি জানান, কোথা থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে তদন্ত চলছে। এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দৃশ্যত সৌদি আরবের তেলক্ষেত্রে হামলার জন্য দায়ী ইরান। তবে ওয়াশিংটন অবশ্যই তেহরানের সঙ্গে যুদ্ধ এড়াতে চায়। সোমবার ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।