সংকটে পড়ে রিজার্ভ থেকে মাংস বিক্রির উদ্যোগ চীনের

প্রকাশ | ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি ডেস্ক
বিপাকে পড়ে কেন্দ্রীয় রিজার্ভ থেকে ১০ হাজার মেট্রিক টন শূকরের মাংস বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে চীন। মাংসের দাম ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া এবং সোয়াইন ফেভার রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রীয় একটি সংস্থা হিমায়িত কৌশলগত রিজার্ভ থেকে ১০ হাজার টন মাংস বিক্রি করবে। খবর: সিএনএন; বিবিসি। অনলাইনে নিলামের মাধ্যমে এ বিপুল পরিমাণ মাংস বিক্রি করবে চীন। চায়না মার্চেন্ডাইজ রিজার্ভ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি মাংস রিজার্ভের দায়িত্ব পালন করছে। মূলত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, জার্মানি, ফ্রান্স এবং চিলি থেকে শুকরের মাংস আমদানি করে চীন। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শূকরের মাংস উৎপাদক এবং ভোক্তা দেশও চীন। তবে রোগটির বিস্তারের ফলে গভীর সংকটে পড়ে গেছে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি। এ পর্যন্ত ওই ভাইরাসে আক্রান্ত অন্তত ১০ লাখ শূকর জবাই করে ধ্বংস করেছে দেশটি। অবশ্য এ রোগটি মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে চীনের গুরুত্বপূর্ণ শূকর উৎপাদন ব্যবস্থায় এটি প্রভাব ফেলেছে এবং ভোক্তাদের খরচ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত আগস্টে এক বছর আগের তুলনায় শূকরের মাংসের দাম অন্তত ৪৬ দশমিক সাত শতাংশ বৃদ্ধি পায়। দামে স্থিতিশীলতা আনতেই নিলামের মাধ্যমে রিজার্ভ থেকে মাংস বিক্রির ওই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। নিলামে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক ক্রেতা একবারে মাত্র ৩০০ টন মাংস কিনতে পারবেন। চায়না মার্চেন্ডাইজ রিজার্ভ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার কৌশলগত বিভিন্ন ধরনের পণ্য সংরক্ষণের কাজ করে থাকে। শূকরের মাংস ছাড়াও জীবিত শূকর, অন্যান্য হিমায়িত মাংস এবং চিনি সংরক্ষণের দায়িত্ব পালন করে থাকে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি। তবে চীনের শুকর উৎপাদন ব্যবস্থা আফ্রিকান সোয়াইন ফেভারে আক্রান্ত হওয়ায় নিলামের এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চীনের নানা ধরনের উৎসবে ব্যাপকহারে শূকরের মাংস খেয়ে থাকে। এরই মধ্যে এমন এক সময় নিলামের আয়োজন করা হচ্ছে, যখন চীন তাদের ৭০তম বার্ষিকী উপলক্ষে সপ্তাহব্যাপী জাতীয় ছুটি পালন করতে যাচ্ছে। ২০০৭ সাল থেকে কৌশলগত রিজার্ভ ব্যবস্থা চালু করে দেশটি। তবে কি পরিমাণ পণ্য রিজার্ভ করে রাখা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।