সবুজায়নে অনাগ্রহ ব্যাংকগুলোর

প্রকাশ | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
যাযাদি রিপোর্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পরও পরিবেশবান্ধব প্রকল্পের অর্থায়নে খুব বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছে না ব্যাংকগুলো। ফলে এ খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কমে গেছে। পরিবেশবান্ধব শিল্প-করাখানা তৈরি, ব্যাংকের শাখাগুলোতে পেপারলেস বা কাগজবিহীন ব্যাংকিং চালু ও সৌর বিদু্যৎ ব্যবস্থার আওতায় আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া নির্দেশনার বাস্তবায়নেও তেমন অগ্রগতি নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ২০১১ সালে শুরু হয় সবুজ বা গ্রিন ব্যাংকিং কার্যক্রম। তবে ২০১৪ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণকৃত ফান্ডেড ঋণের সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পরিবেশবান্ধব খাতে ব্যয় করার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি ব্যাংক খাত। ২০১৯ সালের জুন শেষে ব্যাংক খাত থেকে ২ হাজার ৩৬৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। যা আগের ত্রৈমাসিকের (জানুয়ারি-মার্চ) তুলনায় যথাক্রমে ১৭.৬৬ ও ১১.৩২ শতাংশ কম। আগের তিন মাসে এখাতে ব্যাংকিং খাত বিনিয়োগ করে ২ হাজার ৮৭৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। অন্যদিকে ১৭৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে আর্থিক প্রতীক প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকগুলো সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছে কারখানার সবুজায়নে। গ্রিন ফাইন্যান্সে বিতরণকৃত ঋণের মধ্যে ৬৩ শতাংশ সবুজায়নে ব্যয় হয়েছে। সবুজ ইট উৎপাদনে ১১ শতাংশ, বিদু্যৎ সাশ্রয়ে ৮ শতাংশ, বর্জ্য পরিশোধন ৬ শতাংশ এবং অন্যান্য খাতে ১২ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। উলেস্নখ্য, চামড়া ও টেক্সটাইল শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ২০ কোটি ডলারের একটি তহবিল গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশি টাকায় যার মূল্য ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা (১ ডলার = ৮৫ টাকা)। কিন্তু এই গ্রিন ট্রান্সফর্মেশন ফান্ড (জিটিএফ) থেকে ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোর তীব্র অনীহা। এই ফান্ডটি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে চামড়া শিল্পের এই করুণ অবস্থা দেখতে হতো না বলে মত সংশ্লিষ্টদের। মানসম্মত পরিবেশ না থাকায় বিদেশি ক্রেতারা বারবার ফিরে যাচ্ছেন বলে মত তাদের। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী এই ফান্ড (জিটিএফ) থেকে চামড়া ও টেক্সটাইল শিল্পে ঋণ বিতরণের জন্য ১৯টি ব্যাংক চুক্তি করেছে। কিন্তু চলতি বছরের (২০১৯) মার্চ মাস পর্যন্ত এখান থেকে ঋণ দেয়া হয়েছে মাত্র দুটি প্রজেক্টে। যার পরিমাণ ১ লাখ ৩০ হাজার ৪৭৭ ডলার বা ১ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার ৫৪৫ টাকা (১ ডলার = ৮৫ টাকা)। কিন্তু এ ঋণটিও বিতরণ হয়েছে টেক্সটাইল খাতে।