পেঁয়াজ আমদানিতে ব্যাংক ঋণের সুদ ৯ শতাংশ

প্রকাশ | ০৩ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
সরবরাহ নিশ্চিত ও দাম নিয়ন্ত্রণে পেঁয়াজ আমদানির অর্থায়নে সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ পেঁয়াজ আমদানি অর্থায়নে সুদহার-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির কারণে স্থানীয় বাজারেও পেঁয়াজের মূল্যে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে বাজারে ভোক্তা পর্যায়ে পেঁয়াজের সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে স্থানীয় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত ও মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে পেঁয়াজ আমদানি অর্থায়নের সুদহার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো। এ ছাড়া পেঁয়াজ আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে মার্জিনের হার নূ্যনতম পর্যায়ে রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নির্দেশনা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এদিকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। এতে দেশের বাজারে গত কয়েক দিনে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ প্রেক্ষিতে পেঁয়াজ আমদানির অর্থায়নে সর্বোচ্চ সুদহার বেঁধে দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মঙ্গলবারও পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ছয়টি ট্রলার থেকে ৫৬৯ টন পেঁয়াজ খালাস হয়েছে। এ নিয়ে ভারত রপ্তানি বন্ধের পর গত দুই দিনে ১ হাজার ২১৯ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। খালাস হওয়া পেঁয়াজ ছাড়াও নাফ নদীতে আরও চারটি ট্রলারে ৪০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এসব পেঁয়াজ বুধবার স্থলবন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার কথা রয়েছে। পেঁয়াজের দাম বাড়ার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে মিয়ানমারের পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। সেপ্টেম্বর মাসে ৩ হাজার ৫৭৩ দশমিক ১৪১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে, যার আমদানি মূল্য ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আমদানিকারকেরা জানান, পেঁয়াজ আমদানি বাড়লেও বন্দরে জেটি, শ্রমিকসংকট ও মালামাল খালাসের জেটিতে ছাউনি না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলে পণ্য খালাস বন্ধ রাখতে হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানিকারকরা জানান, শ্রমিকসংকট ও বৃষ্টির কারণে জেটিতে ছাউনি না থাকায় পেঁয়াজ খালাস করতে বিলম্ব হয়েছে। স্থলবন্দরের সুবিধা বাড়লে পেঁয়াজ আমদানিও বাড়বে।