মোবাইলে ব্যক্তি হিসাবে লেনদেন বাড়ছে

প্রকাশ | ০৫ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
মোবাইলের মাধ্যমে পারসন টু পারসন বা এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে লেনদেন দিন দিন বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এক মাসে পারসন টু পারসন লেনদেন হয়েছে ৮ হাজার ১৯৬ কোটি টাকার। কিন্তু এক বছর আগেও এই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই (২০১৯) শেষে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পিটুপি লেনদেন বেড়েছে ২ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। আগের মাসেও (জুন) এই লেনদেন ছিল ৮ হাজার ১২২ কোটি টাকার ঘরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন একাউন্ট ও লেনদেন বৃদ্ধির পাশাপাশি সচেতনতাও বেড়েছে এখন। জনগণ এখন ব্যাংকের লাইনে না দাঁড়িয়ে ঘরে বসেই লেনদেন করতে বেশি আগ্রহী। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের একজন গ্রাহক সোহেল রানা জানান, দেশের সুপারশপগুলোতে এখন মোবাইলের মাধ্যমেই লেনদেন বেশি হয়। বিকাশ ও রকেটসহ অন্যান্য ব্যাংক এখন ইন্টারনেট ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্যাশব্যাক অফার দেয়। এতে কেনাকাটার পাশাপাশি সাশ্রয়ও হয় কিছু টাকা। এসব লেনদেন ব্যক্তিগত হিসেবের মাধ্যমেই সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। পার্সন টু পার্সন পেমেন্টস (পি২পি) হলো একটি অনলাইন প্রযুক্তি। যার মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ড থেকে অন্য ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ইন্টারনেট বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তহবিল স্থানান্তর করতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে এখন প্রতিদিনই বাড়ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা। বাড়ছে লেনদেনের পরিমাণও। গত আগস্ট শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে দৈনিক লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। ব্যাংক সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যুক্ত হয়েছে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল অর্থাৎ সেবা মূল্য পরিশোধ, কেনাকাটার বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণসহ বিভিন্ন ধরনের লেনদেন। তাই দিন দিন এর গ্রাহক সংখ্যা বাড়ছে। ফলে দেশের ব্যাংকিং সেবায় এসেছে এক বৈপস্নবিক পরিবর্তন। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে মোট ১৬টি ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠানে জুলাই শেষে মোট নিবন্ধিত এমএফএস হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ কোটি ৩৬ লাখ। এ সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫১ হাজার ১১৫ জনে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, আগস্টে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে ৬৫ লাখ ৮৮ হাজার লেনদেন হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে আদান-প্রদান হয়েছে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আলোচিত মাসজুড়ে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবগুলোতে টাকা জমা পড়েছে ১২ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা, যা আগের মাসের চেয়ে ৭ শতাংশ কম। উত্তোলন করেছে ১২ হাজার ৩৪৬ কোটি টাকা, যা জুলাইয়ের তুলনায় সাড়ে ৫ শতাংশ কম। রেমিট্যান্স এসেছে ৩৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।